Site icon Mati News

শেষমেশ ভেটকির চামড়া থেকেও মানিব্যাগ!

পাতুরি বা ভাপা হিসেবে ভেটকির পদ রসনায় জল আনে। সেই ভেটকি মাছের চামড়া থেকে যে মানিব্যাগও হয়, সেটা জানা গেল লখনউয়ে এ বারের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানমেলায়। ব্যাপারটা চাক্ষুষ করতে ওই মেলায় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের স্টলে ভিড় উপচে পড়েছিল। শুধু মানিব্যাগ নয়, ফ্যাশনের ক্ষেত্রে কী ভাবে ভেটকির চামড়ার ব্যবহার করা যায়, সেটাই দেখিয়েছেন কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড লেদার টেকনোলজির শিক্ষক বুদ্ধদেব সিংহ।

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক আয়োজিত ওই বিজ্ঞানমেলায় জুতোয় মাছের চামড়ার কারুকার্য, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ বা মানিব্যাগের উপরে বসানো মাছের চামড়ার কাজ নজর কাড়ে। ভেটকি ছাড়াও শোল জাতীয় মাছের চামড়াকে ওই সব শিল্পকর্মে লাগানো হয়েছে।

বুদ্ধদেববাবু জানান, মাছের এই চামড়া নদীতে ফেলে দেওয়ায় দূষণ ছড়াত। সেগুলো ভেসে ছোট ছোট খালে চলে আসত। তার টানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন খালে ঢুকে পড়ত কুমির। প্রাণের ঝুঁকি বাড়ত ধীবরদেরও। কিন্তু সেই চামড়া কিনে সেখান থেকে নানা ধরনের কাজ করার ফলে দূষণ তো কমেছেই। জেলেরাও অনেকটা নিরাপদ। সেই সঙ্গে ফ্যাশনের জগতে অভিনব একটি জিনিসের প্রচলন শুরু হচ্ছে।

অনলাইনে বেচাকেনার একটি সংস্থা মাছের চামড়ার জিনিসপত্র কিনে নিতে চেয়েছে। তারা দরপত্র দিলে কাজ শুরু হবে বলে জানান বুদ্ধদেববাবু। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের বিজ্ঞানমেলা আবিষ্কারের নতুন দিশা দেখায়। সুব্রত পাঠক নামে বেহালার এক বাসিন্দা জঙ্গল ও ঘাস কাটার মেশিন তৈরি করে বিজ্ঞানমেলায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিলেন। কেরল, রাজস্থান, গুজরাত-সহ বিভিন্ন রাজ্যের গবেষক ও হবু বিজ্ঞানীরা যোগ দিয়েছিলেন এই মেলায়। এই ধরনের একটি মঞ্চ বিজ্ঞানকে আরও বেশি করে মেলে ধরতে সাহায্য করে বলে মত প্রকাশ করেন তাঁদের অভিমত। তাঁরা জানান, বিজ্ঞান গবেষণায় ভাটা নিয়ে গোটা দেশই চিন্তিত। এই অবস্থায় এই ধরনের মেলার যত বেশি আয়োজন করা যায়, ততই ভাল। কারণ, তাতে বিজ্ঞানচেতনার প্রসার হবে।

Exit mobile version