তবে একটা বিষয় আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে, সেটি হলো অপচয়। আঙুর, পিচ বা নাশপাতি যে ফলই হোক না কেন, অনেক বাগান রয়েছে এসব ফল কখনই সংগ্রহ করা হয় না। হয়তো বাগান রেখে তারা দেশ বা বিদেশে নিজের কাজে ব্যস্ত তাই সংগ্রহ করে না। ফলগুলো পেকে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক বাগানের ফলন একটু কম হয়েছে তাই পুরো বাগানের ফল আর সংগ্রহ করেনি। এ ছাড়া যেসব বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলোতেও কিছু ফল রেখে দেওয়া হয়েছে যা আর কখনই সংগ্রহ করা হবে না। এভাবে নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য ফল-ফলাদি। এ ছাড়া ফল যদি কখনো পেকে মাটিতে পড়ে সেই ফল জাপানিরা কখনই সংগ্রহ করে না।
যা হোক, আপনি বেড়াতে চাইলে আসতে পারেন। সত্যি দেখার মতো একটা জেলা জাপানের ইয়ামানাসি। চারদিকে সাজানো-গোছানো পাহাড় আর পর্বতমালা। সবকিছুই যেন নিজের মতো করে প্রযুক্তি দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছে জাপান। টোকিও থেকে বাসে বা ট্রেনে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পথ। কখনো পাহাড় কখনো পর্বতের নিচ দিয়ে আবার কখনো পাহাড়ের ভাজে ভাজে বিশাল বিশাল রাস্তা। জাপানে গ্রাম আর শহর সব একই রকম। একই সুযোগ-সুবিধা। হোটেল-মোটেলের কোনো অভাব নেই। গাড়ির দেশে রাস্তারও কোনো অভাব নেই। এত সাজানো গোছানো যে দেখলে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কত শত বছরে এসব তৈরি করেছে, কে জানে! আসলে জাপানে যা দেখি তাতেই অবাক হই। এর পেছনে অবশ্য রয়েছে তাদের সততা-আন্তরিকতা আর কঠোর পরিশ্রম।