Site icon Mati News

আপেলের খোসায় কী উপাকার জানা আছো তো?

আপেলের

যেকোন প্রাকৃতিক ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে একথা আমরা সবাই জানি। প্রতিদিন একটি করে ফল খেলে অনেক ধরনের রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। আর এসব ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত আমরা সব ফলেরই খোসাটিকে বাদ দিয়েই ভেতরের অংশটি খেয়ে থাকি। কিন্তু এই বাদ দেওয়া খোসা অংশটিও যে আমাদের শরীরের পক্ষে বড় ধরনের উপকারিতা থাকতে পারে তা আমরা ক’জনই বা জানি। বলছি আপেল ফলের কথা। পুষ্টি গুণ বিবেচনায় আপেল-এর খোসার গুণাগুণ অন্য যেকোনো ফলের তুলনায় অনেক বেশি। পেটিনিন ফাইবারে সমৃদ্ধ এই ফলটির খোসা হৃদরোগের জন্য দারুন উপকারী। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হাড়ের উপকারে আপেল-এর খোসা অত্যন্ত কার্যক্ষমতাসম্পন্ন।

সম্প্রতি ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগরিকালচার (USDA) এর তথ্যানুসারে, আপেলের খোসাতে বিশেষ একধরণের আশ রয়েছে। যেটি দীর্ঘ সময় ধরে পেটের ভেতরে থাকলে ক্ষুধা নিবারণে কাজ করে। যা একজন মানুষকে বারবার খাওয়ার প্রবণতা থেকে দুরে রাখে। এছাড়াও, আপেলের আশ হাড়, যকৃত সুস্থ রাখার পাশাপাশি হজমের ক্ষেত্রে কাজ করে।

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল-এর খোসার পলিফেনলগুলি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। আপেল-এর খোসায় ট্রিটেরপর্নোইডস থাকে যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মতো অপরিহার্য খনিজও রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

এছাড়া, আপেলের খোসায় কোয়ার্সিটিন নামক একটি শক্তিশালী যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-প্রদাহজনক বলে পরিচিত । এটি হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। খোসাতে থাকা পলিফেনল কার্বোহাইড্রেট এবং শরীরের চর্বি শোষণ করতে সাহায্য করে। খোসাসহ আপেলের কম গ্লাইসেমিক সূচক রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখতে পারে।

Exit mobile version