Site icon Mati News

চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য কি ক্ষতিকর?

চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য কি ক্ষতিকর?

চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ- বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত। তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় খাবারটির কিছু স্বাস্থ্য সুবিধা তুলে ধরা হয়েছে। পছন্দের খাদ্য তালিকায় থাকা সত্ত্বেও যারা চকলেট খেতে ভয় পান তাদের জন্য এটি সুখবরই বটে।

চকোলেটে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে
চকলেট বা চকলেট তৈরিতে যে কোকোয়া নামের উপাদান ব্যবহার করা হয় তাতে রয়েছে পলিফেনল নামের যৌগ। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে বিশেষ করে বড়দের সাহায্য করে যৌগটি। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষের ক্ষতির পরিমাণ কমায়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টিও ক্রীড়াবিদদের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে। একটি উচ্চ মাত্রার কোকোয়া কন্টেন্টসহ ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে স্বাস্থ্য সুবিধা দেয় এমন উপাদান কম রয়েছে দুধ চকলেটে।

চকলেট ক্ষতির কারণও হতে পারে
মনে রাখতে হবে, চকলেট একটি চিনি ও পরিপৃক্ত চর্বি সমৃদ্ধ খাবার। আপনি যদি নিয়মিত এটি খান, তবে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। আর ওজন বৃদ্ধি মানেই হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসসহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি।

আদর্শ পরিমাণ
যদি কেউ ভাবেন দিনে একটি চকলেট বার স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী, তবে তা ভুল। কেননা, একটি চকলেট বারে থাকে গড়ে ২৫০ ক্যালোরি। সে জন্য আপনাকে ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় হাঁটতে হবে। স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে একটি চকলেট বারের চার ভাগের এক ভাগ কিংবা বড়জোড় অর্ধেকাংশ আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন।

‘চকলেট’র মতো এমন জিনিস হয় না
চকলেট একটি আসক্তির নামও। সম্ভবত আমরা এর চিনি এবং চর্বি উপাদানের প্রতি আকৃষ্ট। আসল বিষয় হলো চকলেটে থাকা পলিফেনল আমাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে, যা অন্য খাবারে রয়েছে কম।

বিষণ্নতা দূর করে
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান দিয়েগো স্কুল অব মেডিসিন’র গবেষকরা দেখেছেন, যারা যত বেশি বিষণ্নতায় ভোগে, তারা তত বেশি চকলেট খেতে চায়। কেননা, এতে তারা ভালো বোধ করে।

কানাডার এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিপৃক্ত চর্বি সমৃদ্ধ চকলেটে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হয়, যার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক থাকতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন
ডায়াবেটিস থাকলে চকলেট খাওয়া যাবে না- এমন একটি মিথ প্রচলিত আছে। প্রকৃতপক্ষে, আপনিও পারেন চকলেট খেতে, তবে পরিমিতভাবে। এ জন্য ডায়াবেটিক চকলেট খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ এতে এখন পর্যন্ত উচ্চ মাত্রার চর্বি উপাদান থাকে, যা রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

Exit mobile version