Site icon Mati News

পিরিয়ডের সময় নারীরা যে ভুলগুলো করেন

পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একজন নারীর শারীরিক সুস্থতার লক্ষণও প্রকাশ পায় নিয়মিত পিরিয়ড চক্রের মাধ্যমে। কিন্তু এই সময়ে নারীরা অসচেতন ও কিছু কুসংস্কার মেনে ভুল করে থাকেন। যা তাদেরই মারাত্নক ক্ষতি করে থাকে। জেনে নিন সেই ভুলগুলো কি এবং আজ থেকেই তা করা বন্ধ করুন।

রক্তের রং সম্পর্কে সচেতন: পিরিয়ডের রক্তের রং কেমন তা খেয়াল করতে হবে। কারণ এর সাথে সুস্থতা বা অসুস্থতা জড়িত। পিরিয়ড শুরু হওয়ার সময়ে রক্তে রং থাকবে বাদামি বর্ণের এবং সময়ের সাথে সাথে সেটা হবে লাল রঙের। পিরিয়ডের শেষের দিকে সেটা সাধারণত হয়ে যাবে গাড় বাদামি রঙের। যা অনেকটা কালো রঙের মতো। কিন্তু পিরিয়ডের রক্তের রং যদি শুধুমাত্র লাল অথবা শুধুমাত্র বাদামি হলে দ্রুত কোনো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

পিরিয়ডের তারিখ সম্পর্কে জানা: বেশিরভাগ নারী মনে করেন, পিরিয়ডের তারিখ সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয় শুধুমাত্র গর্ভধারণের পরিকল্পনার জন্য। কিন্তু এটা মোটেও সঠিক নয়। কারণ পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে থাকলে তা অসুখের লক্ষণ। তাই প্রতি মাসেই পিরিয়ডের তারিখ একই বা কাছাকাছি হওয়া উচিত।

নিয়মিত স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো: শারীরিকভাবে সুস্থ ও পরিষ্কার থাকার জন্য নিয়মিত ও যথাসময়ে ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো জরুরি। অনেকেই এই ব্যাপারে একেবারেই সচেতন নয়। স্যানিটারি ন্যাপকিনে খুব দ্রুত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয়ে থাকে। যে কারণে, প্রতি ৬-৭ ঘণ্টা পরপর ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলাতে হবে।

খাওয়া-দাওয়া না করা: পিরিয়ড শুরুর আগে এবং পিরিয়ড চলাকালীন থাকে, জ্বর ভাব, বমি ভাব, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়। এছাড়া অনেক নারীদের তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। তাই এই সময়ে প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির। তাই পিরিয়ড শুরুর আগে এবং পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

অরক্ষিত সহবাস: পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অরক্ষিত অবস্থায় যৌন সম্পর্ক করা যাবে না।

অতিরিক্ত পেইনকিলার গ্রহণ করা: পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বেশিরভাগ নারী তলপেটে ব্যথার জন্য পেইনকিলার খান। তবে অতিরিক্ত পেইনকিলার গ্রহণে কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করে। বরং গরম পানির ভাপ ও গ্রিন টি পানের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে পেটে ব্যথাভাব দূর করার চেষ্টা করতে হবে।

Exit mobile version