Site icon Mati News

মাস্ক নেই তাই জিরাফ সেজে

মাস্ক

সবাই আবাক হয়ে দেখছে কিছু একটা হাসপাতালে ঘোরা ফেরা করছে। ঘোরা ফেরা করা জিনিসটি আর কিছু না একটি জিরাফ! চিন্তার বিষয় হল হাসপাতালে জিরাফ কী করছে? করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানে না এমন কেই পাওয়া যাবে না।অনেক দেশ এখন করোনার দখলে। ভয়ংকর করোনার ভয়ে বুঝি এবার জীবজন্তুু গুলোও হাসপাতালে আসতে শুরু করেছে। জিরাফটির দেখা মিলেছে চীনের ‘লাজুহু’ শহরের একটি হাসপাতালে। আসলে মাস্ক না পেয়ে জিরাফের মুখোশ পরেই ঘুরছে অনেকে।

সপাতালটির নাম ‘ চীনা’স সাউথ- সিচুওয়ান প্রোভিনস’। কিন্তুু প্রশ্ন করায় জিরাফ নিজেই উত্তর দিল। করোনা থেকে বাঁচার জন্যই এই বুদ্ধি। প্লাস্টিকের জিরাফ পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এক মহিলা তাই জানালেন। মহিলাটির নাম জানা যায়নি। সম্প্রতি তার এই পোষাক পরিহিত ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্লাষ্টিকের পোষাকটিতে প্রথমে বাতাস ডুকিয়ে তারপর পরতে হয়। জিরাফের ঠিক মাথার নিচেই ছোট প্লাষ্টিকের ট্রন্সপ্লারেন্ট জানালা আছে। যা দিয়ে সামনে চলার সময় দেখা যায়। ঘটনাটি দুঃক্ষজনক করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য তিনি মাস্ক কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তুু পাননি। এদিকে তিনি যে মাস্ক ব্যবহার করছিলেন তার মেয়াদ বহু আগেই শেষ। তিনি জানান তার মাস্কটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৭ সালে। তাই বাইরে যাওয়ার জন্য মাস্কে না পাওয়ায় পার্টি পোষাকটি কেনেন।
শ্বাসকষ্টের অসুবিধা থাকায় এই হাসপাতালেই তার বাবা নিয়মিত চেকাপের জন্য আসতেন। কিন্তুু করোনা ভাইরাসের কারনে তার এখন সম্ভব না হওয়ায় তাকে আসতে হয়েছে। তাই পোষাকটি পরে হাসপাতালে আসেন এবং ভিডিও কলের মাধ্যেমে তার বাবা ডাক্তার কথা বলেন। ভিডিও কল শেষে প্রয়োজনীয় ওষধ কিনে তিনি বাসায় ফিরে যান। এই সময় হাসপাতেলর একজন নার্স হাসপাতালে জিরাফ দেখে ভিডিও টি করেন।
ডাক্তারদের মতে, এই ধরনের প্লাষ্টিক পোষাক করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য খুব একটা সাহায্য করবে না। অবশ্যই প্রত্যেকবার ব্যবহারের পর পোষাকটি জীবানুমুক্ত করতে হবে। ভিডিওটি এই অসময়ে মানুষকে একটু হলেও আনন্দ দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন , ‘ যিদিও বিষয়টি দঃখজনক তবুও আনন্দ পেয়েছি, আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই মহামারি থেকে মুক্তি পাবো’।

Exit mobile version