Saturday, April 20
Shadow

টাঙ্গাইলের সম্রাট : ৩০ মণ ওজনের গরুটার দাম কত?

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য রাজধানীর হাটে উঠছে ফ্রিজিয়ান জাতের ৩০ মণ ওজনের একটি গরু। নাম ‘টাঙ্গাইলের সম্রাট’। লম্বায় ১০ ফুট। উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। গরুর মালিক টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের মটরাপূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ।

সম্রাট গরু টাঙ্গাইল

জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে আব্দুস সামাদের খামারে গরুটি জন্ম নেয়। ছোট থেকেই শান্ত প্রকৃতির। শখ করে তার নাম রাখেন ‘টাঙ্গাইলের সম্রাট’। ষাঁড়টির ওজন এখন প্রায় ৩০ মণ।

গরুটিকে কুড়া, ভুসি, খৈল, ছোলা ও কাঁচা ঘাসসহ প্রাকৃতিক ও দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। গরুটি লালন-পালনে আব্দুস সামাদকে সহায়তা করেছেন তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম। তারা এই গরুর দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা।

খামারি আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ষাঁড়টি অনেক শান্ত প্রকৃতির। ছোট বেলাতেই নাম রেখেছি ‘টাঙ্গাইলের সম্রাট’। এখন ওজন হয়েছে ৩০ মণ। দাম চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা। বাড়িতে বিক্রি না হলে আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানীর আফতাবনগর হাটে নিয়ে যাবো। কেউ বাড়িতে এসে কিনতে চাইলে আলোচনা সাপেক্ষে দাম কম রাখা হবে।’

১২ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন খামারি আব্দুস সামাদ

তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টি লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের লোকজন এসেও নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। এখন চারদিকে বর্ষার পানি। ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।’

খামারি আব্দুস সামাদের স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, ‘আমিও ষাঁড়টি লালন-পালনে সহযোগিতা করেছি। প্রথমে আমরা একটি গাভি নিয়ে খামারে লালন-পালন শুরু করি। এ পর্যন্ত চারটি ষাঁড় বিক্রি করা হয়েছে। এখনও খামারে ১০টি ষাঁড় ও গাভি রয়েছে। এই ষাঁড়ের ন্যায্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তবুও কেউ বাড়ি থেকে কিনতে চাইলে কম টাকাতেই বিক্রি করা হবে। ’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া বলেন, ‘এবারের কোরবানির ঈদে জেলায় ৮১ হাজার ৫টি পশুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি উপজেলায় ৮৭ হাজার ৯২টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। হাটে পশুর চাহিদা রয়েছে। খামারিরাও ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!