আধুনিক জীবনযাত্রা ও পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস আমাদের সুশৃঙ্খল জীবন কাটাতে অনেক সময়েই বাধা দেয়। ফলে অভ্যন্তরীণ ক্ষতি ঘটতেই থাকে নিরন্তর। যেমন কিডনি আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও প্রতি দিনের বেশ কিছু সাধারণ ভুলে এই অঙ্গের ক্ষতি হয় নানা ভাবে। অনেক সময়ই আমরা যে সব ভুল করি, তা পরবর্তীকালে কঠিন রোগের আকার নেয়। ফলে প্রথম থেকেই নিয়ম মেনে চলা খুব দরকারি।

মদ্যপান লিভারের ক্ষতি করে— এ কথা আমরা সকলেই জানি। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলা আবশ্যিক। কিন্তু তার বাইরেও আমাদের বেশ কিছু অভ্যাস লিভারকে অসুস্থ করে তোলে।

কিডনি বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ তরফদারের মতে, আমাদের রোজের কিছু কাজ আদতে ক্ষতি করে কিডনির। জানেন কি সে সব? দেখে নিন আর এড়িয়ে চলুন এ সব অভ্যাস।
  • কিডনিকে ভাল রাখতে খুব প্রয়োজন জলের। শরীর অনুযায়ী জল কতটা প্রয়োজন, তার পরামর্শ নিন চিকিৎসকের কাছে। সেই অনুযায়ী জল খান রোজ। প্রতি দিন পর্যাপ্ত জল না খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শীতকালেও জল খাওয়ার পরিমাণ কমাবেন না। তেষ্টা না পেলেও সময় ধরে জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • সামান্য ব্যথা হলেই পেন কিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন। কিডনির কোষের অতিরিক্ত ক্ষতি করে পেন কিলার। ব্যথা একান্ত অসহ্য হলে তবেই তা খান।
  • খাওয়ার পাতে নুন খান খুব? এ অভ্যাসে রাশ টানুন আজই। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীর থেকে বের করতে পারে না। ফলে বাড়তি নুনের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিডনি।
  • সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করতে চান না, তাই বাইরে বেরলে আটকে রাখেন প্রস্রাব? এমন অভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। অনেক ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে তা কিডনিতে চাপ তো ফেলেই, এমনকি, চিকিৎসকদের মতে, এমন অভ্যাস দীর্ঘ দিন ধরে বজায় রাখলে অচিরেই নষ্ট হতে পারে কিডনি।
  • মাংস খেতে ভালবাসেন? কিন্তু একটু রাশ টানুন। বরং পাতে বাড়িয়ে ফেলুন মাছ-শাকসব্জির পরিমাণ। চর্বি কিডনির জন্য খুব ক্ষতিকারক। মাংসের ফাইবারও পরিমাণে বেশি হলে তা কিডনির উপর চাপ ফেলে। তাই ঘন ঘন মাংস খাওয়ার প্রবণতা থাকলে তা কমান, খেলেও খুব পরিমাণ মেপে খান।