Site icon Mati News

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় HOW TO REDUCE HAIRFALL

চুল নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। এখন সবারই এক প্রশ্ন চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কী ? স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর চুল সবার চাই। তা নিয়েই আজকের আয়োজন–

আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সমান ভারী চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল বলা যায়। এ ছাড়া চকচকে কালো চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকতে হবে।চুল পড়া, চুল উঠে যাওয়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। ছেলেমেয়ে সবাই এর শিকার। চুল প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি করে বড় হয়। স্বাভাবিকভাবে একটি চুল দুই থেকে চার বছর পর্যন্ত বড় হতে থাকে। এরপর বৃদ্ধি কমে যায় এবং কয়েক দিনের মধ্যে আপনা-আপনি পড়ে যায়। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কী তা জানার আগে চুল পড়ার কারণ জেনে নিই

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

কীভাবে বুঝবেন চুল পড়ছে

প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পড়লে তা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুনতে চেষ্টা করুন। অন্তত পর পর তিন দিন। অথবা অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুলই উঠে আসে, তবে তা চিন্তার বিষয়।

আমরা যে চুল সাধারণত মানুষের মাথায় দেখতে পাই তা হল কেরাটিনের মৃত কোষ। একজন মানুষের মাথায় গড়ে এক থেকে দেড় লক্ষ চুল থাকে। এর মধ্যে প্রায় প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ টি চুল ঝরে যায়। অর্থাৎ ১০০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যখন ১০০ টির বেশি চুল পড়ে যায় তখনই মাথার তালু খালি হয়ে যেতে থাকে।

চুল গজানোর জীবনচক্র | চক্রের তিনটি পর্যায়

যে সব কারণে চুল ঝরে

চুল পড়া একটি স্পর্শকাতর সমস্যা। চুল পড়ার কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয়, চুলপড়ার কারণ ডাইহাইড্রক্সি টেস্টোস্টেরন বা ডিএইটি (DHT), ডিএইচটি (DHT) একটি পুরুষ হরমোন। পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন থেকে আলফারিডাকটেজ এনজাইমের সাহায্যে তৈরি হয় ডিএইচটি (DHT)। ডিএইচটি (DHT) চুলের ফলিকলের গোড়ায় গিয়ে তাদের বৃদ্ধি রোধ করে এবং রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। এভাবেই চুল পড়তে শুরু করে। সুতরাং DHT বেড়ে গেলে চুল পড়তে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে টাকের সৃষ্টি হয়।

চুল পড়ে যাওয়াকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়—

অ্যানাজেন ইফ্লুভিয়ামঃ নানারকম ওষুধ ও কেমোথেরাপির জন্য যখন চুল পড়ে যায় তখন তাকে বলে অ্যানাজেন ইফফ্লুভিয়াম।

টেলোজেন ইফ্লুভিয়ামঃ চুলের ফলিকল যখন রেস্টিং স্টেজে যায় তখন তাকে টেলোজেন ইফ্লুভিয়াম বলে। চুলের ফলিকল রেস্টিং স্টেজ যাওয়া মানে চুল আর বড় না হওয়া এবং এক সময় চুল ঝরে যাওয়া।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও চুল পড়া নিয়ে ভুল ধারণা

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

বেশি আঁচড়ালে চুল ভালো থাকবে?

ভাবছেন বেশী আঁচড়ালে চুল ভালো থাকবে? এই ভুলটিও করতে যাবেন না। বেশী আঁচড়ালে বরং চুলের ক্ষতি বাড়ে, দুর্বল চুল হলে পড়ার হারও। দিনে ২/৩ থেকে তিনবার চুল আঁচড়ালেই যথেষ্ট। আবার একেবারে চুল না আঁচড়েও থাকবেন না। চুল আঁচড়ালে মাথার তোকে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে চুলের গোঁড়া মজবুত হয়। তবে হ্যাঁ, আঁচড়াবেন পরিমিত পরিমাণে ও তাড়াহুড়ো না করে হাতে সময় নিয়ে।

কখন চুল আঁচড়াবেন?

কখন চুল আঁচড়াবেন? রাতে ঘুমাবার আগে চুল আঁচড়ে বেঁধে ফেলুন। সকালে বের হবার আগেও আঁচড়ে নিন। এছাড়া শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই চুল আঁচড়াবেন। এতে চুলে জট হবে না এবং প্রচুর চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

তো এই হলো চুল পড়া বন্ধ করার উপায় । আশা করি ধাপগুলো মনে রাখবেন ও অকালে টাক হওয়ার হাত থেকে সময় থাকতে নিজেকে রক্ষা করবেন।

Exit mobile version