Site icon Mati News

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কোনটা খাবেন?

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি গ্যাস দূর গ্যাস্ট্রিক আলসার

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ এখন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ভেজাল খাবার ও অতিরিক্ত তেলপ্রীতির কারণে এসিডিটির রোগ এখন ঘরে ঘরে।  কিন্তু আমরা এর জন্য  বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে চাই না। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বাছাই করার ক্ষেত্রে অনেকটা দৈব চয়নই আমাদের ভরসা। যেন এই ওষুধ তো একটা হলেই হলো। আসলেই তাই?

এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজের ডা. ফেরদৌস আহমেদ।  তিনি জানান, ‘ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রোগের ধরন অনুযায়ী রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়। এইচ টু ব্লকার যেমন রেনিটিডিন, ফ্যমোটিডিন, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) যেমন ওমিপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল, প্যানটোপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল ও রেবিপ্রাজল আছে। দেশে বেশি চলে ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল। রোগীর বয়স, রোগের ধরন এগুলোর ওপর ভিত্তি করে ওষুধগুলো সাজেশন করা হয়। এমনি এমনি কাউকেই কোনও ওষুধ দেওয়া হয় না।’

ডা. ফেরদৌস বলেন, ‘ইসোমিপ্রাজল বুক জ্বালাপোড়ায় অধিক কার্যকর, রেবিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ খাবারের আগে পরে খাওয়া যায়, বিশেষ করে তরুণদের ক্ষেত্রে এটি সাজেশন করা হয়। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন, তবে আমরা ফার্মেসি থেকে যেভাবে ওষুধ কিনি তা কোনওভাবেই কাম্য নয়। খাদ্যনালীর সমস্যা,পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা এসব থেকেও অনেক সময় বুক ব্যাথা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। ’

ডাক্তার আরও জানালেন, পিপিয়াই গ্রুপের ওষুধ (ওমিপ্রাজল, রেবিপ্রাজল) খাবারের আগে সেবন করে ভরা পেটে ব্যাথার ওষুধ সেবন করা উত্তম। না হলে গ্যাস্ট্রিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক পারফোরেশনের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন রোগী।

ক্ষেত্রবিশেষে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে অ্যান্টাসিডের ইনজেকশন দেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে। তবে খাওয়ার পর এমনিতে সমস্যা বোধ করলে এক চামচ লিকুয়িড অ্যান্টাসিড খাওয়াটাও ভালো সমাধান।

তবে বড় বিষয়টি হলো রুটিন মেনে চলা। এক্ষেত্রে নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া উচিৎ। ক্ষুধা বেশিক্ষণ জিইয়ে রাখলেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আবার প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেলেও পরবর্তীতে অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগতে হবে।

 

Exit mobile version