শিশুর টাইফয়েড হলে কী করবেন?

শিশুর টাইফয়েড হলে  কী করবেন?

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।এখন আর বাবা-মায়েরা পুরোনো দিনের নিয়ম রিতি মনে শিশুদের যত্ন নেয় না। পুরনো প্রথা না মানাই উত্তম। যে কোনও মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হলেই তাকে বার্লি, সাবু, দুধ, ডাবের পানি বা সরবতের মতো তরল খাবার একটানা খাইয়ে যাওয়া ছিল এদেশের প্রাচীন প্রথা। টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত অন্ত্র আক্রান্ত হয়।

শিশুর টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত অন্ত্র আক্রান্ত হয়

এক ধরনের ছোটছোট ঘা দেখা দেয় অন্ত্রের ভেতরের দেয়ালে, রোগী কম-বেশি পেটের সমস্যায় ভুগতে থাকে। কখনো কখনো পেটের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে  পারে এরকম জ্বরে। টাইফয়েডের কারণ, গতিপ্রকৃতি, জটিলতা-কোনও কিছুই আজ আর অজানা নয়।

‘ক্লোরামফেনিকল’ নামের ম্যাজিক ওষুধ আবিস্কারের আগে পরযন্ত টাইফয়েডের নির্দিষ্ট ও কারযকরী কোনও ওষুধ ছিলনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে।

‘স্যালমনেলা টাইফি’ নামের জীবাণু আক্রমণ টাইফয়েড রোগের কারণ। এই জীবাণু মানুষের শরীরে ঢোকে দূষিত জল খাবার, শাকসবজি অথবা না-ফোটানো দুধ থেকে।

টাইফয়েড হলে যা করবেন

১। বিশ্রাম, সঠিক পুষ্ঠি আর ওষুধপত্র টাইফয়েডের মূল কথা।

২। পাশাপাশি অসুস্থ শিশুর সঠিক যত্ন নিন। নিয়মিত দাঁত মাজানো, গোসল করানো, জ্বর বাড়লে মাথায় বরফ দেওয়া বা ঠাণ্ডা পানিতে গোটা শরীর ভালো ভাবে মুছিয়ে দেওয়া, শিশুর জামাকাপড় নিয়মিত বদলান।

৩। শোবার জায়গা পরিচ্ছন্ন, সময় মতো খাবার আর জল খাওয়াবেন।

৪।পানি অন্তত ১০-১৫ মিনিট টগবগ করে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে খাওয়ানোই ভাল।

৫। শিশু খেতে ভালোবাসলে দিনে একবার সাবু বা বার্লি দুধের সঙ্গে খাওয়াতে পারেন।

পাশাপাশি অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

 

টিপসশিশুস্বাস্থ্য