Site icon Mati News

কী করে ঝরালেন ১৫৫ কিলো? আদনান সামি বললেন…

ওবেসিটি বা অতিস্থূলতা এখন গোটা দেশের মাথা ব্যথার কারণ। মেদ ঝরিয়ে সুস্থ এবং চনমনে থাকাটাই দস্তুর। তাই সেই পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওজন কমানোর যুদ্ধে নেমেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি। ২০০ কিলোগ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল কসরৎ। ১৫৫ কিলো ঝরিয়ে আদনান এখন ছিপছিপে, প্রায় নির্মেদ।

নিজের চেহারা নিয়ে নানা ভাবে ট্রোলড হতে হয়েছিল আদনানকে। একটা সময় প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন গায়ক। ‘তেরা চেহেরা’, ‘উড়ি উড়ি’, ‘ইসক হোতা নেহি’ গান তখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। কেরিয়ারের চূড়ান্ত সাফল্যও তাঁকে শান্তি দিতে পারেনি। প্রিয়জনের কাছ থেকেও নাকি আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
তবে, সব জল্পনায় জল ঢালেন গায়ক নিজেই। লাইপোসাকশন নয়, বরং চিকিৎসা করাতেই গিয়েছিলেন বলে জানান আদনান। অতিরিক্ত মেদের কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানান, দ্রুত ওজন না ঝরালে আর হয়তো মাস ছ’য়েক বাঁচবেন তিনি।
ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া মোটেই সহজ ছিল না। আদনানের কথায়, ‘বিষয়টা ৮০ শতাংশ মানসিক এবং ২০ শতাংশ শারীরিক’। ডায়েট শুরুর আগের দিন নাকি কব্জি ডুবিয়ে পছন্দের খাবার ম্যাশড পটেটো, প্রচুর মাখন মাখানো স্টেক এবং বড়সড় চিজ কেক দিয়ে ভুরিভোজ সেরেছিলেন তিনি। তবে, ঠিক তার পর দিন থেকেই শুরু করেছিলেন লো-ক্যালরি এবং হাই-প্রোটিন ডায়েট।
প্রথমেই তাঁর খাদ্যতালিকা থেকে ভাত, রুটি এবং জাঙ্কফুড ছেঁটে ফেলেন নিউট্রিশনিস্ট। সেখানে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেয় স্যালাড, মাছ এবং সেদ্ধ ডাল। আদনান বলেছেন, ‘‘নিউট্রিশনিস্ট আমাকে বলেন আগে মন থেকে খাই খাই বন্ধ কর। তার পর ডায়েট মেনে চল। মনকে সংযত করলে তবেই শরীর কথা শুনবে।’’
আদনানের দিন শুরু হতো এক কাপ চিনি ছাড়া চা দিয়ে। লাঞ্চে সব্জির স্যালাড এবং মাছ। রাতে শুধু সেদ্ধ ডাল অথবা চিকেন। তা ছাড়া, খুচরো খিদে মেটাতে বাড়িতে তৈরি পপকর্ন, নুন-মাখন ছাড়া। সঙ্গে চিনি ছাড়া ড্রিঙ্কস।
সঠিক ডায়েট মেনে ৪০ কিলোগ্রাম ওজন ঝরানোর পরেই জিমে যাওয়ার অনুমতি পান আদনান। সেখানে ট্রেডমিল এবং হালকা ফ্রি-হ্যান্ড দিয়েই শুরু হয় তাঁর শারীরিক কসরৎ। কয়েক মাস পর ট্রেনার প্রশান্ত সবন্ত তাঁর জন্য ওয়েট ট্রেনিং-এর রুটিন বানিয়ে দেন। সপ্তাহে ছ’দিন মেপে ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করেন গায়ক।প্রতি মাসে ১০ কিলোগ্রাম করে ওজন ঝরিয়েছেন আদনান। ১৬ মাসের মধ্যে ১৫৫ কিলো ওজন ঝরিয়ে এখন তাঁর ওজন ৬৫ কিলোগ্রাম। ২০১৩ সালে ফের যখন পর্দায় ধরা দেন গায়ক, গোটা দেশ তাঁর নতুন লুক দেখে চমকে ওঠে। মেকওভারের পর আদনান নিজেও খুব খুশি। গায়ক বলেছেন,‘‘আগে নিজের পায়ের পাতা দেখতে পেতাম না। আর এখন অনেক ফিট এবং ঝরঝরে লাগে। মানসিক অবসাদও চলে গিয়েছে।’’

 

Exit mobile version