গাড়িতে দার্জিলিং। তখন দুপুর একটা। তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা থেকে এতটা পথ পেরিয়ে পৌঁছলাম দার্জিলিংয়ের সেন্ট পলস স্কুলের সামনে। গাড়ি নামিয়ে দিয়ে চলে গেল মৃত্যুঞ্জয় সেন এবং গৌরী সেনের বাড়ির নীচে। ড্রাইভারজিকে জিজ্ঞেস করলাম ‘এখানেই নামব?’ উত্তর এল, ‘‘ইয়েহি তো আপকা ডেস্টিনেশন হ্যয়।’’ কিন্তু মৃত্যঞ্জয় বা গৌরী কেউই আমার পরিচিত নন। তাঁদের পরিচয়টা জানার জন্য বাড়িতে ঢুকতেই হল। ‘গৌরী সেন কি এই বাড়িতেই থাকেন?…’ বেরিয়ে এলেন শ্রীলেখা মিত্র। ‘‘আরে আমিই গোরী। এসো এসো।’’
গোছানো ড্রয়িং রুমে ঢুকে দেখি লম্বা ট্রলি পাতা। বড় বড় আলো জ্বলছে। মনিটর সাজিয়ে বসে আছেন একজন। এছাড়াও বহু লোকের ব্যস্ততা। ততক্ষণে সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন ক্যাকটাসের সিধু। শ্রীলেখা আলাপ করিয়ে দিলেন, ‘‘এই হলেন আমার হাজ্বেন্ড মৃত্যুঞ্জয়। আমরা ‘সোয়েটার’-এর গৌরী-মৃত্যুঞ্জয়। ’’
দার্জিলিঙে ‘সোয়েটার’-এর শুটিংয়ে শ্রীলেখা মিত্র এবং সিধু।
পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের প্রথম ছবি ‘সোয়েটার’-এর শুটিং চলছে দার্জিলিংয়ে। তার কভারেজেই এখানে আসা। কিন্তু ড্রাইভার যখন সাজানো বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে বললেন ‘এটাই আপনার ডেস্টিনেশন, তখনও এটা যে শুটিং স্পট সেটা বুঝিনি। কারণ, সাধারণত শুটিং মানেই একটা একটা গমগমে পরিবেশ। কিন্তু বাড়ির বাইরে কেউ ছিলেন না, সকলেই ব্যস্ত ছিলেন অন্দরমহলে। আলাপ হয়ে যাওয়ার পর শ্রীলেখা বসালেন তাঁদের ড্রয়িং রুমে। আড্ডায় এলেন পরিচালকও। খুব অন্যরকম গল্প ভেবেছন তিনি। বুনছেন দক্ষ হাতে। টুকু (এই চরিত্রে অভিনয় করছেন ইশা সাহা) নামের এক সাধারণ মেয়ের গল্প বলছেন। শ্রীলেখা এই ছবিতে টুকুর পিসি। আর সিদ্ধার্থ তার বর।