Site icon Mati News

আপনার প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতে পরিণত হবে যেভাবে

ইবাদত করা আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে তার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর নামে যত ভালো কাজ করা হয় তার সবই ইবাদত হিসেবে পরিগণিত। এ ইবাদত বা উপাসনা দু’টি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

প্রথমটি : ইবাদতের প্রতি থাকতে হবে পরম ভালোবাসা।
দ্বিতীয়টি : আল্লাহর প্রতি পরম শ্রদ্ধায় নিজেকে বিলীন করে দেয়া।

ইবাদতের প্রতি ভালোবাসা মানুষের আগ্রহ বাড়ায় আর শ্রদ্ধা ভয়-ভীতির মাধ্যমে ইবাদাতে নিজেকে বিলীন করে দেয়া যায়। আর ইসলামের পরিভাষায় এটি হলো ইহসান। সুতরাং ইহসান অবলম্বন করেই মানুষকে ইবাদত করতে হবে। কেননা ইহসানের মাধ্যমেই মানুষ তার প্রতিটি মুহূর্তকে ইবাদতে পরিণত করতে সক্ষম হয়।

সার্বক্ষণিক যে মনোভাব পোষণ করবে : মানুষ সব সময় এমন মনোভাব পোষণ করবে, যেন সে তাঁকে (আল্লাহকে) দেখছে। বান্দা যখনই আল্লাহকে দেখছে ভেবে যে কোনো কাজে সময় অতিবাহিত করবে তখন তার প্রতিটি মুহূর্তই ইবাদতে পরিণত হবে। কোনো প্ররোচনাই তার কাজে অনুপ্রবেশ করতে পারবে না। বান্দার যত চাওয়া তার সবই আল্লাহর কাছে চাইবে। তখন আল্লাহ তাআলা তার সব চাওয়াই পূর্ণ করে দেবেন।

মানুষ তার সময় এমন ভাবে অতিবাহিত করবে, যেন সে আল্লাহকে না দেখলেও আল্লাহ তাআলার সব কর্মকাণ্ড দেখছেন। মানুষ যখন এ মনোভাব পোষণ করবে তখন তার দ্বারা অন্যায় কাজ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। অন্যায় কাজ থেকে মুক্ত হতে পারলেই মানুষ সব কাজে সফলতা লাভ করবে। আর প্রতিটি মুহূর্তই তার ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে। সুতরাং ইবাদতের সময় অন্তরে ইবাদতের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করা। আল্লাহর তাআলার প্রতি শ্রদ্ধায় নিজেকে বিলীন করে দেয়া জরুরি।

ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহকে দেখতে পাওয়া কিংবা আল্লাহকে দেখতে না পেলেও আল্লাহ তাআলা দেখছেন এ অনুভূতি হৃদয়ে জাগ্রত করাই হলো ইহসানের সর্বোচ্চ স্তর। যা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অনেক জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইবরাহিমের ধর্ম অনুসরণ করে, তার চেয়ে দ্বীনের ব্যাপারে আর কে উত্তম?’ (সুরা নিসা : আয়াত ১২৫) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইহসানের সঙ্গে অতিবাহিত করে গোনাহমুক্ত জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। সর্বোত্তম মুসলিম হিসেবে নিজেদের তৈরি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Exit mobile version