পেঁয়াজের খোসা সার হলো পেঁয়াজের খোসা থেকে তৈরি একটি প্রাকৃতিক জৈব সার। পেঁয়াজের চামড়ায় পাওয়া পুষ্টিগুণ-সমৃদ্ধ গুণাবলী ব্যবহার করে এই ঘরে তৈরি সার তৈরি করা হয়। পেঁয়াজের খোসা দিয়ে ঘরে তৈরি জৈব সার তৈরি করা সহজ এবং গন্ধমুক্ত। এটা সংরক্ষণ করা সহজ এবং সব ধরনের গাছপালার জন্য ভাল কাজ করে।
কিভাবে বাড়িতে পেঁয়াজের খোসার সার তৈরি করবেন
- একটি কাচ বা প্লাস্টিকের জগ ব্যবহার করুন। শুকনো পেঁয়াজের খোসা দিয়ে পূরণ করুন। ভেজা বা পচা খোসা দেবেন না।
- খোসা ভেজাতে পানি দিন। ২৪ ঘণ্টা শীতল জায়গায় রাখুন।
- বেগুনি একটি দ্রবণ তৈরি হবে। এটি গাছের জন্য উপযুক্ত। চারাগাছ তৈরিতে ২-৩ চা চামচ ব্যবহার করুন।
- আবার পানি দিন ও প্রতিদিন নাড়ুন। পাতাযুক্ত গাছের টনিক সার তৈরিতে ৪ দিন ভিজিয়ে রাখুন। তবে প্রতিদিনেই নাড়তে হবে। পরে এটি ছেঁকে নিন এবং গাছে দেওয়ার আগে এর সঙ্গে তিনগুণ পানি মেশান।
- পেঁয়াজের খোসার সার প্রয়োগ করার আগে, মাটি ভালো করে ঝুরঝুরে করে নিন। ভেজা মাটিতে সার দেবেন না। তরল সার প্রয়োগের আগে নিশ্চিত করুন যে মাটি শুকনো আছে। কারণ অতিরিক্ত ভেজা মাটি সারের শোষণ বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
- চরম তাপমাত্রার সময় সার দেবেন না। ভোরে বা সন্ধ্যায় গাছে পেঁয়াজের খোসার সার দেবেন।
- শীতকালে কিছু ফুলগাছে এ সার দেওয়া যাবে না।
পেঁয়াজের খোসা সারা বছরই ঘরে থাকে। তাই সারা বছরই এ সার ব্যবহার করতে পারবেন। পানিতে থাকে এমন গাছেও এ সার ব্যবহার করতে পারবেন।
পেঁয়াজের খোসার তৈরি সার স্প্রে করেও দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে টনিকটি চারগুণ পানিতে মিশিয়ে পাতলা করে ১৫ দিন পর পর গাছে স্প্রে করুন।
পেঁয়াজের খোসার সার পুষ্টি জোগায়, সুষম পুষ্টির জন্য পাশাপাশি অন্য সারও ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজের খোসা সার দেওয়ার ১০ দিন আগে বা পরে অন্যান্য সার যেমন ইপসম লবণ, টনিক, সামুদ্রিক শৈবাল, কলার খোসা ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
পেঁয়াজের খোসা এ টনিক সার সংরক্ষণ করেও রাখা যায়। বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করুন এ কাজে। উজ্জ্বল সূর্যালোকে রাখা যাবে না। ফ্রিজেও রাখা যাবে না।