কুয়েতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সহকারী চিফ অব স্টাফ (প্রশাসন ও জনশক্তি) মেজর জেনারেল বদর আহমাদ আল আওয়াদি।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে অভ্যর্থনা ও নৈশভোজের আয়োজন করেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে।
২১ নভেম্বর রাতে জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ সাগিরুল ইসলাম, ড. তাবাসসুম সাগিরসহ কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, কাউন্সিলর ও দূতাবাস কার্যালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, কাউন্সিলর (শ্রম) আবদুল লতিফ খান, প্রথম সচিব জহুরুল হক খানসহ তাঁদের পরিবার আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর সহকারী চিফ অব স্টাফ (প্রশাসন ও জনশক্তি) মেজর জেনারেল বদর আহমাদ আল আওয়াদি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, মেজর জেনারেল হুমায়ূন কবির, বিএমসির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল মনসুর মোহাম্মদ আশরাফ খান।
এ অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর দেশ রক্ষায় নানা কার্যক্রম এবং বিদেশে বিভিন্ন মিশনে ও শান্তি রক্ষায় তাদের অবদান এবং কুয়েতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে সুনামের সঙ্গে তাদের কর্মধারার কথা সবার মধ্যে তুলে ধরেন ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ সাগিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর সহকারী চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল বদর আহমাদ আল আওয়াদি কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্ট বিএমসি সদস্যদের কুয়েত পুনর্গঠনে তাদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদীর্ঘ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সে সময় কুয়েতের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টের সদস্যবৃন্দ, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, দেশ-বিদেশের সাংবাদিকসহ প্রবাসী সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।