Site icon Mati News

ফ্রান্সে কি এ বার জরুরি অবস্থা!

ফ্রান্সে

শুরুটা হয়েছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবেই। কিন্তু জ্বালানির দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে ফ্রান্সে সপ্তাহ দুয়েক আগে শুরু হওয়া সেই ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদই আজ ভয়ানক চেহারা নিয়েছে। প্যারিস থেকে শুরু করে দেশের একটা বড় অংশ ফুটছে। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে এরই মধ্যে আহত প্রায় ১৫০। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর সরকার বিক্ষোভকারীদের একাধিক বার আলোচনার টেবিলে ডেকেও সাড়া পায়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে শীঘ্রই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর।

প্রতিবাদের নামে রাস্তায় নেমে হিংসা যে তিনি মেনে নেবেন না, আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস থেকে সেই বার্তা দিয়েছেন মাকরঁ। জি-২০ শীর্ষ বৈঠক শেষ করেই তিনি প্যারিসের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন। আজই রাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসবেন মাকরঁ।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, জ্বালানি কর বৃদ্ধির কারণে চলতি শতাব্দীর গোড়া থেকেই তারা ভুগছেন। মাকরঁর আমলে আরও বিগড়ে গিয়েছে পরিস্থিতি। তাঁদের অভিযোগ, সমাজের নিচু তলার প্রতি কোনও নজর নেই প্রেসিডেন্টের। তাই স্লোগান উঠছে— ‘মাকরঁ দূর হটো। প্রথম শনিবার শুধু রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু লোহার রড, কু়ড়ুল নিয়ে আসা প্রতিবাদীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। যা সামাল দিতে পুলিশও যথেচ্ছ লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গ্রেফতারির সংখ্যা। শনিবার এলেই বিক্ষোভের নামে দেশ জুড়ে এই অচলাবস্থা ঠেকাতে এ বার কড়া পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে প্রশাসন। এক সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত। তাই নেতৃত্বের জোর থাকবে না বলেই ধরা হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা যে এতটা আগ্রাসী আর মারমুখী হয়ে উঠবেন, সেটা ভাবা যায়নি।’’

Exit mobile version