মেয়েদের দৈনন্দিন ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলো

প্রতিদিনকার জীবন-যাপনে বেশ কিছু কাজ মেয়েরা করে থাকেন, যা হয়তো আলাদা করে ভাবারও সময় থাকে না। কিন্তু সেসব ছোট ছোট ভুল আদতে ক্ষতি করে নিজেদেরই। এসবের পরিবর্তন না ঘটলে কিন্তু পরবর্তীতে বড় ধরণের মাশুল দিতে হতে পারে। প্রতিদিন মেয়েদের যেসব অভ্যাস অজান্তে ক্ষতি করছে সেগুলো হলো-

সানস্ক্রিন: মেয়েদের ত্বক ছেলেদের তুলনায় বেশি নরম ও স্পর্শকাতর। তাই যত্নও নিতে হয় বেশি। যত্নের অন্যতম উপাদান সানস্ক্রিন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক বাঁচাতে এর জুড়ি নেই। কিন্তু বেশির ভাগ মেয়েই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে কেবল মুখে মাখেন তা। অথচ শরীরের সব খোলা অংশেই সানস্ক্রিন মাখা উচিত। ফলে ত্বক পুড়ছে সহজেই!

ব্লটিং পেপার: মেকআপের পর অধিকাংশ মেয়েই ভুলে যান ব্লটিং পেপারের ব্যবহার। ব্লটিং পেপার ত্বকের অতিরিক্ত মেকআপ শুষে নেয়। কিন্তু তা না করায় মুখে ভাল করে মেকআপ বসে না। অতিরিক্ত মেকআপ লেগে থাকে। একটু ঘাম হলে বা বেশ খানিকক্ষণ সময় গড়ালেই তা আরও বেশি করে ফুটে উঠে মুখকে ফ্যাকাশে করে তোলে।

ভারী ব্যাগ: ছোটখাটো জিনিসও ব্যাগ থেকে বের করতে চান না মেয়েরা। কবেকার শপিংয়ের বিল, বাসের টিকিট, প্রতি দিনের অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ভরে ওঠে ব্যাগ। তাছাড়া অনেক মেয়েই ব্যাগে জিনিস ভরতেই থাকেন, ‘যদি কাজে লাগে’ এই বিশ্বাসে। এই অভ্যাসে স্পনডিলাইটিসে ভোগেন অনেকেই।

মুখে হাত: মেয়েদের অনেকেই ঘন ঘন মুখে হাত বোলান। এমন অভ্যাস থাকলে তা বদলানো উচিত। এমনিতেই মেয়েদের ত্বক স্পর্শকাতর। হাত না ধুয়ে তাই ঘন ঘন মুখে হাত দিলে তা ত্বকের ক্ষতি করে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের দাবী, ব্রণ হওয়ার একটি কারণও এই অপরিষ্কার হাত ঘন ঘন মুখে দেওয়া।

চোখ কচলানো: অকারণে চোখের কোণে হাত দেওয়া ও চোখ কচলানোও ক্ষতি করে। চোখে লেন্স পরলে ভাল করে চোখ পরিষ্কার করার পর লেন্স পরুন। তাতেও যদি চোখ কড়কড় করে, তবে তা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। কিন্তু ঘন ঘন চোখ কচলালে বা চোখের কোণে হাত দিলে কাজল-লাইনার তো ঘেঁটে যায়-ই, সঙ্গে অপরিষ্কার হাত থেকে চোখে ইনফেকশানের ভয়ও থাকে।

হেয়ার ড্রায়ার: বেশির ভাগ মহিলাই দ্রুত চুল শুকোতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, ঘন ঘন হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার ভয়ানক ক্ষতি করে চুলের। ড্রায়ারের গরম হাওয়া চুলের গোড়া আলগা করে, চুলকে ফাটিয়ে দেয় সহজেই।