https://www.youtube.com/watch?v=ypWYv3BvmXY&feature=youtu.be
মিরপুরের ৪ নম্বর রোডের শিয়ালবাড়ীর ২ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন ফ্লোরিডা। এফআর টাওয়ারের ১১ তলায় অফিস ছিল তাঁর। কর্মরত ছিলেন শিপিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠান ইস্কানোয়েল লজিস্টিক লিমিটেডের ম্যানেজার হিসেবে।
ফ্লোরিডার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার লডাঙ্গা চতুরপুরে। বাবা আফজাল হোসেন ও মা আতিমন নেসার তৃতীয় সন্তান তিনি। স্বামী ইউসুফ ওসমান বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য।
ইউসুফ ওসমান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় অফিসে রওনা হন তাঁর স্ত্রী। দুপুর ১টায় ফোন করে নিজেই আগুন লাগার খবর দেন। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন তিনি। তখন ওড়না ভিজিয়ে নাকের কাছে নিয়ে শুয়ে পড়তে বা সম্ভব হলে ওপরে ছাদের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন ইউসুফ ও তাঁর সন্তান। কয়েক দফায় কথা হওয়ার পর দুপুর আড়াইটা থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন ১২ তলায় ওঠার চেষ্টা করার সময় সিঁড়িতে ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল। তখন ধোঁয়া ও অন্ধকারের মধ্যে সিঁড়িতে পড়ে যান ফ্লোরিডা। একপর্যায়ে হয়তো পদদলিত হয়ে এবং শ্বাসকষ্টে তিনি মারা যান।
রাত ৮টায় পরিবার জানতে পারে সিএমএইচে তাঁর মরদেহ আছে। গতকাল শুক্রবার জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি শিবগঞ্জের আলিডাঙ্গা কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।