গানটির শিরোনাম ‘লুজ কন্ট্রোল’। গানটি গাওয়ার পাশাপাশি এর কথা লিখেছেন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আযরাফ ওজি। প্রথম নিজের গান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তাও আবার জিপি মিউজিক থেকে, সবকিছু মিলিয়ে ভীষণ রোমাঞ্চিত ওজি। তিনি বলেন, ‘আমি খুব উচ্ছ্বসিত। গান প্রকাশের আগে কিছুটা নার্ভাস মনে হলেও তেমনি রোমাঞ্চিত ছিলাম। ভাবিনি, এত তাড়াতাড়ি সবকিছু হয়ে যাবে। আব্বু যখন আমাকে সাপোর্ট দেওয়া শুরু করেছেন, তখন থেকে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’
বাবা শাফিন আহমেদ আপনার বড় অনুপ্রেরণা? ‘বাবা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তিনি আমাকে গানের ব্যাপারে অনেক সাপোর্ট করেন। আব্বু তো বহু বছর ধরে গাইছেন, এখনো যখন খুব সিরিয়াসলি নিয়ম মেনে গানের প্র্যাকটিস করেন, এসব আমাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করে।’ বললেন আযরাফ ওজি।
আযরাফ ওজির দাদা প্রখ্যাত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও নজরুলসংগীতশিল্পী কমল দাশগুপ্ত আর দাদি নজরুলসংগীতের প্রখ্যাত শিল্পী ফিরোজা বেগম। চাচা আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ। কমল দাশগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম আযরাফ ওজির জন্য তাঁর কিছুটা চাপ। তবে এই চাপ ইতিবাচকভাবে দেখছেন তিনি। বললেন, ‘আমার পরিবারের সবাই সংগীতাঙ্গনে অনন্য এক উচ্চতায় আছেন। এটা আমার জন্য যেমন চাপ, তেমনি আমাকে ভালো কিছু করার জন্য তাড়না দেয়। আমিও আমার সেরাটা দিতে চাই। আমার সবচেয়ে বেশি আগ্রহ হিপহপে।’
এ বছর শেষ দিকে কয়েকটি গান নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন আইইউবির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের নবম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আযরাফ ওজি।
আনুষ্ঠানিকভাবে সন্তানের গান প্রকাশিত হয়েছে, তাতে খুশি বাবা শাফিন আহমেদ। তবে তাঁর পরামর্শ, ‘ছেলে যেহেতু এখনো পড়াশোনা শেষ করেনি, তাই এ মুহূর্তে পেশাদার গানের জগতে আসার দরকার নেই। পড়াশোনা আগে। পাশাপাশি এটা করছে এবং করবে। তবে আমি তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
শাফিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমি খেয়াল করেছি, ওজি গান লেখে খুব ভালো। এখন ওর আগ্রহ হিপহপে। এই মাধ্যমে গানের কথা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি বলব, সে ক্ষেত্রে বয়সের তুলনায় ওর লেখায় যথেষ্ট গভীরতা আছে। ওর সম্ভাবনা আছে। তা ছাড়া র্যাপ করার দক্ষতা ও অর্জন করেছে। দুটো মিলিয়ে মনে হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে গান প্রকাশের সময় এসেছে। পরপর ওর কিছু গান আসবে এ বছর।’
ছেলেকে নিয়ে শাফিন আহমেদ বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই ওজি টেলিভিশনে এবং টেলিভিশনের বাইরে আমার সঙ্গে ছিল। হিপহপের বাইরে আমাদের যে গান গাওয়ার স্টাইল, সেটাতেও সে দক্ষ। আমার সঙ্গে একাধিক অনুষ্ঠান করেছে। ওর পছন্দের গানগুলো করে। বর্তমান সময়ের অনেকের গানই করে। বাংলাদেশে হিপহিপ শিগগিরই বড় আকার ধারণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় হিপহপের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। শ্রোতাও বাড়ছে। আমার বিশ্বাস, ওর পছন্দ এখানে সমাদৃত হবে।’