মেয়োনিজ শুধু শুধু খেতে ভালবাসেন অনেকেই। বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের সঙ্গেও এটি পরিবেশন করা হয়। কিন্তু আজ এই প্রতিবেদনে মেয়োনিজের এমন কয়েকটি আশ্চর্য ব্যবহারের কথা জানাবো, যা শুনলে হয়তো আপনিও অবাক হয়ে যাবেন! আসুন জেনে নেওয়া যাক মেয়োনিজের কয়েকটি আশ্চর্য ব্যবহারের কথা…
১) বাড়িতে ছোট বাচ্চা রয়েছে আর সে ঘরের দেওয়ালে আঁকিবুকি করবে না, তা-ও কি হয়! দেওয়ালে এই আঁকিবুকি করাটা শৈশবেরই একটা অঙ্গ। তবে দেওয়াল থেকে এই দাগ তোলার ঝামেলাও কিন্তু কম নয়! জানেন কি, মেয়োনিজ দিয়ে এই দাগ খুব সহজেই তুলে ফেলা যায়!
২) আঙুলের আংটি কি খুব আঁটোসাঁটো হয়ে গিয়েছে? এমন ভাবে চেপে বসেছে যে মাঝে মধ্যে ব্যথা করে? অথচ কিছুতেই খুলতে পারছেন না! আঙুলে ভাল করে মেয়োনিজ মাখিয়ে নিন। অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি সহজেই আঙুল থেকে বেরিয়ে আসবে।
৩) কাঠের টেবিলের ওপর অনেক সময় চা বা কফির কাপ রাখলে সেখানে গোল হয়ে দাগ পড়ে যায়। অনেক সময় এই দাগ এতটাই কড়া হয় যে মুছলেও সহজে উঠতে চায় না। এ ক্ষেত্রে দাগের জায়গায় মেয়োনিজ লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। তার পর নরম কোনও কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। দাগ উধাও হয়ে যাবে!
৪) ছোটরা দুষ্টুমি করে বা বন্ধু-বান্ধবরা অনেক সময়ই মজা করে চিউইং গাম লাগিয়ে দেয়। চুলে চুইংগাম একবার এঁটে গেলে তা ওঠানো প্রায় অসম্ভব! চুইংগাম-এ এঁটে থাকা চুল হয়তো শেষ পর্যন্ত কেটে ফেলা ছাড়া আর কোনও উপায়ই থাকে না! তবে মেয়োনিজ থাকলে চুল কাটার প্রয়োজন পড়বে না। চুলের চুইংগাম এঁটে থাকা অংশে ভাল করে মেয়োনিজ মাখিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে বা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল থেকে চুইংগাম আলগা হয়ে বেরিয়ে যাবে।
৫) অনেক সময়ই দরজা বা জানলার ছিটকিনি বা তালার ঘাট জং ধরে শক্ত হয়ে যায়। বিচ্ছিরি আওয়াজ হয়। জং ধরা অংশে মেয়োনিজ লাগিয়ে রাখুন। বার কয়েক নাড়াচাড়া করুন। ঠিক হয়ে যাবে।
৬) স্টিলের বাসন ব্যবহার করতে করতে প্রায়ই আঙুলের দাগ-ছোপ পড়ে যায়। মেয়োনিজ লাগিয়ে স্টিলের ওই বাসনগুলি আবার ভাল করে নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। একদম চকচকে হয়ে যাবে!
বিশ্বের সবচেয়ে দামি চিপস, ৫ টুকরো পটেটো চিপসের দাম ৪,৪০০ টাকা!