Site icon Mati News

নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখা মানসিক ব্যাধিতে পরিণত হয়

নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখা মানসিক ব্যাধিতে পরিণত হয়

কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম নিয়ে চিৎকার করে উঠে বসেন। প্রতি রাতে একই চিত্র; একই আতংক! এর নাম দুঃস্বপ্ন। অধিকাংশ মানুষ সকাল হলেই ভুলে যান যে তিনি নিয়মিত এই ভয়ানক মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হন। নিয়মিত দেখা এক সময় মানসিক ব্যাধিতে পরিণত হয়।

দুঃস্বপ্ন কী?

লক্ষণটি ভয়ঙ্কর স্বপ্ন হিসেবেও পরিচিত। দুঃস্বপ্ন বলতে অপ্রীতিকর স্বপ্নকে বোঝায় যা একজন ব্যক্তির মানসিক অবস্থার উপর তীব্র মাত্রায় প্রভাব সৃষ্টি করে।  দেখা একজন ব্যক্তির মনে প্রচণ্ড ভয়, হতাশা, উদ্বিগ্নতা ও দুঃখ বোধ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের স্বপ্নে সাধারণত মানসিক বা শারীরিক ভয়, অস্বস্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ঘটনা দেখা যায়।

সাধারণত দুঃস্বপ্ন দেখার পর একজন ব্যক্তি মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং দীর্ঘ সময় ধরে তার ঘুমাতে অসুবিধা হয়ে থাকে।

কারণ কী?

কোন কোন বিষয়গুলো দেখার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়?

বিবাহ, ডিভোর্স বা গর্ভধারণের মতো বিষয়গুলি দুঃস্বপ্ন দেখা বৃদ্ধি করে। বিষন্নতা ও উদ্বিগ্নতার চিকিৎসার জন্য গ্রহণকৃত সিলেকটিভ সেরোটোনিন রি-আপটেক ইনহিবিটরস্‌ [এস-এস-আর-আই-এস(SSRIs) (selective serotonin reuptake inhibitors)] ও কোন কোন খাদ্যগ্রহণ করলেও দুঃস্বপ্ন দেখার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ট্রমাসৃষ্টিকারী কোনো বিষয়ের জন্যও এই সমস্যা হতে পারে, যেমন- ধর্ষণ।

প্রতিনিয়ত দেখা দিলে কি করা উচিৎ?

এ ব্যাপারে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

দুঃস্বপ্ন দেখা বন্ধ করতে কি করা উচিৎ?

দুঃস্বপ্ন দেখার চিকিৎসা এর মূল কারণের উপর নির্ভর করে।

রাতে খারাপ খাবার খাওয়া, পি-এস-টি-ডি (ptsd) এর লক্ষণ বা বাইপোলার ডিজঅর্ডারের কারণেও দুঃস্বপ্ন দেখার সমস্যা হতে পারে। পি-এস-টি-ডি এর ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপি বেশি কার্যকর, বিশেষত কগনিটিভ বিহ্যাভিয়ার থেরাপি (cognitive behavior therapy, CBT)। কিছু উচ্চ রক্তচাপ প্রশমণকারী ঔষধও কাজে দিতে পারে। বাইপোলার ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে অ্যান্টিসাইকোটিক (antipsychotics) গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া সম্ভব।

দুঃস্বপ্ন দেখা থেকে দূরে থাকতে করণীয়

 

https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM&feature=youtu.be&fbclid=IwAR38C73NHAfJQU4pPFvja5QLhRgotQcX5VbF-TVIm_-qPYYDVLr7UQvjm_I

 

Exit mobile version