কিন্তু জানেন কি, কেবল অনুষ্কাই নন, এখনই সাবধান না হলে আপনিও এই অসুখে আক্রান্ত হতেই পারেন। তুলনামূলক ভাবে মেয়েরাই হাড়ের এই অসুখে বেশি আক্রান্ত হন। কী এই অসুখ, কী-ই বা তার লক্ষণ, কী করে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, জেনে নিন।
অস্থিবিশেষজ্ঞ অমিতাভ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানালেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষ এই অসুখের শিকার হতে পারেন। যাঁরা কায়িক পরিশ্রম, মূলত ঝুঁকে কাজ করেন বেশি, তাঁদের এই অসুখ বেশি হয়।
কী এই বালজিং ডিস্ক?
চিকিৎসা
বালজিং ডিস্ক প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সম্পূর্ণ বিশ্রামই এর অন্যতম ওষুধ। বিশ্রামের সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ব্যায়ামও করা উচিত। তবে অসুখ একান্তই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচার এর একমাত্র উপায়। বিদেশে এই জেলির মতো অংশ প্রতিস্থাপনের চল আছে। তবে এ দেশে এখনও অতটা উন্নত হয়নি বালজিং ডিস্কের চিকিৎসা। কিন্তু এই অসুখ অবহেলা করলে পঙ্গুত্ব পর্যন্ত আসতে পারে।
উপসর্গ
অস্থিবিশেষজ্ঞ কৌশিক ঘোষের মতে, জেলি ফেটে বেড়িয়ে না এলে ব্যথা বোঝা যায় না। তাই এই অসুখের আক্রমণ হঠাৎই হয়।
সাবধানতা
চিকিৎসকদের মতে এই অসুখ থেকে দূরে থাকতে বরাবরই ব্যায়াম ও মেডিটেশন অভ্যাস করা উচিত। মেডিটেশনে স্নায়ুর অসুখ দূরে থাকে। প্রধানত, পেটের সামনের দিকের ও পিঠের পিছনের দিকের কিছু ব্যায়াম এই অসুখ প্রতিহত করে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই ব্যায়াম অভ্যাস করা উচিত। নিত্য খাদ্যতালিকায় হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এমন খাবার, অর্থাৎ উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার রাখা উচিত সকলের।