Site icon Mati News

বয়স হবার পরও শিশুর কথা না বলার কারণ

স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে ইদানীং দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুর ভিড়ই বেশি। শিশু কথা বলতে পারছে না। কারণ, বাড়িতে কেউ তার সঙ্গে কথা বলছে না। তার হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে মোবাইল কিংবা ট্যাব। ব্যস্ত বাবা-মাকে সন্তানের হাজারো বায়না সামলাতে হচ্ছে না। এমনকি, তাকে খাওয়ানোর ঝক্কি উধাও। হাতে ট্যাব ধরালে নিমেষে শেষ হচ্ছে মুখের গ্রাস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু কারো সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না পাওয়ায় কথা শিখছে না। কারো সঙ্গে তার যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে না। সে নিজেকে প্রকাশও করতে পারছে না। প্রাথমিক উপসর্গ দেখে অনেকেই ভেবে নিচ্ছেন, অটিজম। পরে বোঝা যাচ্ছে, আসল সমস্যা অন্য। জন্মের কয়েক মাস পর থেকেই ‘স্ক্রিন টাইম’ বা মোবাইল-প্রযুক্তি গ্রাস করেছে তাকে।

শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মজার মজার কথা বলা, যে কোনো মজার আচরণ করলে হাসা, সবই চোখের মাধ্যমে বোঝা যায়। ট্যাব বা মোবাইল ধরিয়ে তা হয় না।

শিশু চিকিৎসকরা জানান, ট্যাব-মোবাইল নিয়ে থাকায় পরবর্তী সময়ে শিশুর মনঃসংযোগে বড় ঘাটতি ধরা পড়ে। সে ভাবতে শেখে না। ফলে পড়াশোনায় মন দিতে পারে না। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা ট্যাবের আলো তার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। সে কারণে হজমের সমস্যাও হয়। সব মিলিয়ে আনসোশ্যাল, অমনোযোগী শিশুতে পরিণত হয় সে। যার দায় বাবা-মা এড়াতে পারেন না।

Exit mobile version