ইসরায়েলে যেতে চেয়ে নিজ দেশেই সমালোচিত নেইমার !

নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার । গত বিশ্বকাপে অহেতুক মাঠে গড়াগড়ি দিয়ে নিজ দেশে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি; এবার ব্রাজিলের জনগন ক্ষুব্ধ হয়েছে নেইমারের ইসরায়েলে যেতে চাওয়ায়! হ্যাঁ, ব্রাজিলের তারকা নেইমারকে এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। নেইমারের পাল্টা আরেক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলে যাবেন বলে কথা দিয়েছেন। এই নিয়ে ব্রাজিলে এখন তীব্র সমালোচনা চলছে।

সম্প্রতি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জাইর বোলসোনারো। প্রচণ্ড মাত্রায় নারীবিদ্বেষী, সমকামী বিরোধী ৬৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ নিজ দেশেই সমালোচিত। তার সঙ্গে এখন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বেশ গলায় গলায় ভাব। চার দিনের সফরে ইসরায়েল গিয়েছেন তিনি। সেখানেই দুই নেতা মিলে এক ভিডিও বার্তা রেকর্ড করে নেইমার ও ব্রাজিলের আরেক সফল ক্রীড়াবিদ সার্ফিং তারকা গ্যাব্রিয়েল মেদিনাকে ইসরায়েলে আসার আমন্ত্রণ জানান।

নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা গেছে, ‘নেইমার ও মেদিনা, তোমরা ইসরায়েলে এসো। তোমাদের দুজনকেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সবাইকে নিয়ে চলে এসো তোমরা। জেরুজালেম তোমাদের অপেক্ষায়।’ এই ভিডিও বার্তার জবাবে আরেক ভিডিও বার্তায় নেইমার বলেছেন, ‘বেনিয়ামিন ও বোলসোনারো, আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমরা আসছি…।’

এরপরেই সমালোচনা শুরু হয়েছে ব্রাজিলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মতো ‘মানবতাবিরোধী’ ও ‘খুনি’ প্রেসিডেন্টের দেশে নিজ দেশের সবচেয়ে বড় তারকা কীভাবে যেতে পারেন, ব্রাজিলিয়ানরা ভেবেই পাচ্ছেন না। একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘নেইমার বুঝতেও পারছে না নেতানিয়াহুর মতো একজনকে সমর্থন করে ও কী ভুল করতে যাচ্ছে। ও একটা অমানুষ।’

টুইটারে আরেকজন লিখেছেন, ‘যেখানে ব্রুনা (নেইমারের সাবেক বান্ধবী) আফ্রিকার দেশগুলো ভ্রমণ করে আর সেখানে টর্নেডো আক্রান্ত শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেয়, সেখানে নেইমার একজন খুনির দেশে যাচ্ছে! যে ফিলিস্তিনের শিশুদের খুন করেছে। দুজনের ছাড়াছাড়ি হওয়ায় ব্রুনার কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং নেইমারের কবল থেকে সে রক্ষা পেয়েছে।’

ইসরায়েলেনেইমার