নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে সঠিক পদ্ধতিতে কবুতর পালন করতে পারবেন ও লাভবান হতে পারবেন।
১/কবুতর কে সুস্থ সবল রাখার জন্য প্রাথমিক পদেক্ষেপ হলো উপযুক্ত বাসস্থান।
আবহাওয়া সুজা কথা লফটের উত্তর আর দক্ষিণ সাইড় যথাযথ আবহাওয়া আসা যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা।
কারন মুক্ত আবহাওয়া আপনার কবুতর কে সুস্থ রাখার সহায়ক।
২/লফট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা /খাচার নিছে ময়লার ট্রে থেকে কবুতরের খাচার কিছুটা দুরত্ব রাখা।
খাচার সাথে লাগানো হলে সরাসরি ময়লার গ্যাস টা কবুতরের গায়ে লাগে তখন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অন্তত খাচা আর ট্রে এর মধ্যখানে তিন থেকে চার ইঞ্চি গ্যাপ থাকা খুবই ভালো।
৩/ কবুতরের খাচা টা আদর্শ সাইজ হলে খুব ভালো।
অন্তত ২৪-২৪ /২৬-২৬ খাচা সব চেয়ে বেটার।
৪/ সাপ্তাহিক অন্তত দুইবার খাচার ময়লা পরিষ্কার করে দেয়া।
যদি এর আগেও বেশি ময়লা হয় যেমন পাতলা পায়খানা হওয়াতে ভিজে যাই সেই কেত্রে যথাসময়ে পরিষ্কার করে নেয়া।
বেবির বয়স তিন চার দিন হলে ডিমের বাটি চেক করে দেখা বেবির নিছে কি ভিজে আছে নাকি শুখনা যদি ভিজে থাকে সাথে সাথে পরিষ্কার করে দেয়া নতুন করে পরিবর্তন করা
৫/ দিনে একবার জিবানো নাশক দিয়ে স্প্রে করা।
দিনে একবার না হলে ও অন্তত সাপ্তাহিক দুইবার যখন ময়লা পরিষ্কার করবেন তখন স্প্রে করে নেয়া।
৬/হাটে বাজারে কম যাওয়ার চেষ্টা করা
হাটে যাওয়া হলে হাটের অসুস্থ কবুতর হাতে না নেয়া।
হাট থেকে এসে নিজে ফ্রেশ হয়ে হাতে পায়ে স্পে করে লফটে যাওয়া।
৭/পতিদিন কবুতরের পানির বাটি গুলা ধুয়ে নতুন পানি সরবরাহ করা।
সাপ্তাহিক দুই একবার সাবান দিয়ে পানির বাটি পরিষ্কার করা।
খাবারের বাটি গুলা মাঝে মাঝে ধুয়ে দেয়া।
৮/যথাযথ ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা।
খাবারের মান ঠিক রাখা।
খাবার রোদে শুখিয়ে দেয়া।
খাবারের ময়লা ঝেড়ে দেয়া।
নিয়ম অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা।
চাহিদার অধিক খাবার খাবারের বাটি তে না দেয়া
অবচিষ্ট খাবার পুনরায় শুখিয়ে তারপর পরিবেশন করা
টাইম টু টাইম খাবার দেয়া টাইম শেষ হলে খাবারের বাটি সরিয়ে ফেলা।
অন্তত সাপ্তাহ একদিন খাবার কম দেয়া অথবা অর্ধ বেলা উপাস রাখা
৯/এই গরমে পতিদিন পানির সাথে স্যালাইন ইউজ করা।
পাওয়ারি ভিটামিন না দেয়া যেমন( ইসেল + এডি + যেই ভিটামিন দেয়ার পর কবুতরের শরির গরম হয়ে যাই এমন ভিটামিন থেকে বিরত থাকা।
১০/সাপ্তাহিক অন্তত একবার ক্যালসিয়াম দেয়া।
সাপ্তাহিক অন্তত একদিন মালটিভিটামিন দেয়া।
১১/যদি এই গরমে হঠাৎ বৃষ্টির হয় আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে
সেইদিন এমন ভিটামিন ইউজ করা যেনো কবুতরের শরির গরম থাকে হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়ায় যেনো কবুতরের ঠান্ডা না লেগে যাই।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় ই সেল /এডি 3 এই জাতীয় ভিটামিন গুলা যেমন কবুতরের শরির গরম রাখবে অন্যদিকে কবুতর কে ঠান্ডা লাগা থেকে বিরত রাখবে।
১২/সাপ্তাহ একদিন লাইসোভিট দেয়া এটা কবুতরের রোগ গতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে
১৩/সাপ্তাহ অন্তত একদিন গোসলের আয়োজন করা/
১৪/ মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক কিছু খাওয়ানো যেমন রসুনের রস /আদার রস/পুতিদা পাতার রস/তুলসি পাতার রস/নিত পাতা সিদ্য পানি/শুখনো খেজুর ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেতে দেয়া।
১৫/ অন্তত পতি দুইমাস পর পর কৃমির কোর্স করিয়ে নেয়া।
১৬/হঠাৎ কবুতর অসুস্থ হলে সাথে সাথে অসুস্থ কবুতর কে আলাদা করে নেয়া।
প্রাথমিক পর্যায়ে নরমাল মেডিসিন ইউজ করে কাজ না হলে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা।
কারমিনা /সাদুরি /দিনার /এই মেডিসিন গুলা হামদর্দ মেডিসিন এইগুলা ও সাপ্তাহ একদিন করে ছালাতে পারেন।
এই নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনার লফট পরিচালনা করেন ইনশাআল্লাহ ৮০% রোগ চলে যাবে।
আপনার কবুতর সহজে অসুস্থ হবেনা।
কবুতর ফিটনেস থাকবে ইনশাআল্লাহ।
কবুতর ফিটনেস থাকা মানে কবুতরের শরিরে রোগ গতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান থাকা।