সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী: নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ‘নবীন আগমনী উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৫:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চে বর্ণিল এই আয়োজন শুরু হয়।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ভাষার চেতনা ও সময়ের গল্প
অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ভাষা আন্দোলনের চেতনায় নানা গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত মুনির চৌধুরীর বিখ্যাত নাটক ‘কবর’ অবলম্বনে মঞ্চস্থ হয় ‘লাশের দেশ’। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের চিত্র তুলে ধরা হয়, যা বর্তমান সময়ের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে এক মেলবন্ধন তৈরি করে।
নবীনদের জন্য এক বৈচিত্র্যময় আয়োজন
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধক গান, চিত্রাঙ্কন, ফটোগ্রাফি, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বই পর্যালোচনা, নাটক, উপস্থিত বক্তৃতা এবং ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির প্রশংসা ও পুরস্কার বিতরণী
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি, বাকৃবির গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী ফরিদ নবীন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসপূর্ণ অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। এরপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বাকৃবি শাখার সভাপতি অসীম চাকমার সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
নতুনদের স্বাগত জানাতে চারণের প্রতিশ্রুতি
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নবীনদের বরণ করে নিতে প্রতিবছরই অনবদ্য আয়োজন করে থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নবীনদের স্বপ্নের পথচলা যাতে সংস্কৃতি ও মননের আলোয় উদ্ভাসিত হয়, সে লক্ষ্যেই এ আয়োজন। বাকৃবিতে নতুন শিক্ষার্থীদের পথচলা আরও মসৃণ করতে ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।
সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, শিক্ষার্থী, বাংলােদশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।