পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি

কৃষি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে পেঁয়াজ। পুষ্টিগুণেও অনন্য এ সবজিটি। আজ থাকছে এর নানা দিক নিয়ে
পেঁয়াজ চাষাবাদের নিয়ম-কানুন পেঁয়াজের ভালো ফলন পেতে ভালো বীজের চারা, ভালো পরিচর্যা, উত্তম সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

সাধারণত উর্বর মাটিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়। সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত জমিতে ভালো ফলন হয়। ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেঁয়াজের জন্য সর্বাপেক্ষা উপযোগী। উচ্চ তাপমাত্রায় জন্মানো পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেশি হয়। অধিক এঁটেলযুক্ত মাটিতে চাষ করা যায় না। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি চাষের জন্য উত্তম। এ ফসল চাষের জন্য বারবার চাষ দিয়ে মাটি বেশ ঝুরঝুরে করে নেওয়া আবশ্যক। তাই রোপণের আগে জমি উত্তমরূপে চাষ ও মই দিতে হবে, যাতে মাটি ঝুরঝুরে হয়। মাটি গভীরভাবে চাষের জন্য পশুচালিত লাঙল হলে ভালো। বেড তৈরি করে চারা রোপণ করতে পারলে আগাছা পরিষ্কার, সেচ দেওয়া, সার ও ওষুধ প্রয়োগ করতে সুবিধা হয়। বর্তমানে কৃষক তিনটি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ করে থাকে। প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে, জমিতে সরাসরি বীজ ছিটিয়ে দিয়ে উৎপাদন করা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, কন্দ বা বাল্প রোপণ করে উৎপাদন করা। তৃতীয়ত, বীজ থেকে উৎপন্ন চারা সংগ্রহ করে রোপণ করা।

বীজ বপন ও চারা রোপণের সময়
শীতকালীন জাতগুলোর বীজ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরে বীজতলায় বপন করতে হয়। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেড় মাস বয়সী চারা ক্ষেতে রোপণ করতে হয়। গ্রীষ্মকালীন জাতগুলো যেমন বারি পেঁয়াজ-২ ও ৩ আগাম চাষ করতে হলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বীজ বপন করতে হয় এবং এপ্রিলে ৪০ থেকে ৫০ দিন বয়সের চারা রোপণ করা যায়।
গ্রীষ্মকালীন জাতগুলো নাবি হিসেবে চাষ করতে চাইেেল জুলাইয়ে বীজতলায় বীজ বপন করতে হয় এবং আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর এক মাস ২০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। গ্রীষ্মকালীন জাতগুলোর জন্য বীজ বপন থেকে ফসল উত্তোলন পর্যন্ত সময় হচ্ছে তিন থেকে চার মাস (৯০ থেকে ১১০ দিন) এবং শীতকালীন জাতগুলোর জন্য প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস (১৩০ থেকে ১৪০ দিন) সময় লাগে। বীজ বপন ও চারা রোপণের সময় অত্যধিক বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পলিথিন কিংবা চাটাই ব্যবহার করা যেতে পারে।

পরিচর্যা
রোপণ পদ্ধতিতে লাগানো গাছে যে কলি বের হয়, তা শুরুতে ভেঙে দিতে হয়। কলি তরকারি কিংবা সালাদরূপে ব্যবহৃত হতে পারে। বীজের উদ্দেশ্যে পেঁয়াজ ফসলের যে অংশ রাখা হয়, সেখানে ইউরিয়া, পটাশ ও টিএসপি সার দ্বিতীয় দফায় প্রয়োগ করা যায়।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা
পেঁয়াজের জমিতে প্রয়োজনীয় রস না থাকলে প্রতি ১০ থেকে ১৫ দিন অন্তর সেচ প্রয়োজন। সেচ দেওয়ার পর মাটি দৃঢ় হয়ে গেলে তা নিড়ানি দিয়ে ভালোভাবে ভেঙে দিয়ে ঝরঝরে করতে হবে। এতে কন্দের বৃদ্ধি ভালো হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। তবে ভালো ফলনের জন্য পেঁয়াজের বেডে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া যেতে পারে। এতে জমিতে সেচ কম লাগে। গাছের গোড়া সব সময় ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। পেঁয়াজের কন্দ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফুলের কলি দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্র তা ভেঙে দিতে হবে। পেঁয়াজ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। সুতরাং জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
পেঁয়াজ তোলার ১৫ দিন আগে সেচ বন্ধ রাখতে হবে। আগাছা দেখা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিড়ানি দিয়ে আগাছা উপড়ে ফেলতে হবে। আগাছা নিড়ানো, পেঁয়াজের গোড়ার মাটি একটু আলগা ঝরঝরে করা প্রভৃতি কাজ একই সঙ্গে করতে হবে।

পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে সফল বক্তার খান
ফরিদপুর সদরের অম্বিকারপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক বক্তার হোসেন খান। পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের বিভিন্ন জেলায়।জানা গেছে, বক্তার খান ১৯ বছর ধরে উৎকৃষ্ট মানের বীজ উৎপন্ন করছেন। তার উৎপাদিত বীজের চাহিদা রয়েছে কৃষকের কাছে। তিনি বলেন, ২০০০ সালে পারিবারিক উৎসাহে ৬০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ শুরু করি। তখন খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ওই বছর তিন মণ বীজ উৎপাদন করি। আয় হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রতি বছরই গোবিন্দপুরের কৃষিজমিতে বাড়াতে থাকেন তার পেঁয়াজ বীজের আবাদ।
বক্তার বলেন, উৎপাদিত বীজ অন্যদের কাছে বিক্রি করতাম বাজার ধরার জন্য। এ কাজে আমি সফল হয়েছি। নাম রেখেছি ‘খান বীজ ভাণ্ডার’। দেশের যেসব জেলায় পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়, সেসব জেলায় আমার বীজের সুনাম রয়েছে। চলতি মৌসুমে আমি ২৫ একর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। তার কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে অম্বিকাপুর ইউনিয়নের কয়েকশ বেকার যুবক পেঁয়াজ বীজের চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকে এরই মধ্যে স্বাবলম্বীও হয়েছেন।
ফরিদপুর সদরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল বাশার মিয়া বলেন, দেশের পেঁয়াজ বীজের মোট চাহিদার ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বীজ ফরিদপুর থেকে সরবরাহ করা হয়। বক্তার খান একজন আদর্শ কৃষক। অম্বিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ চৌধুরী বারী জানান, চাষি বক্তারের অনুপ্রেরণায় এখানকার অনেক বেকার যুবক আজ স্বাবলম্বী।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ফরিদপুরে তাহেরপুরী, সুখসাগর, লাল তীর কিং ও বারি পেঁয়াজ-১ জাতের বীজের আবাদ হয়। জেলার এক হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে বীজের আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ৬৫০ কেজি পেঁয়াজ বীজ উৎপন্ন হয়।

ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ
পেঁয়াজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। এর কিছু নিয়মনীতি রয়েছে, যা অনুসরণ করা প্রয়োজন। এগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
# সংরক্ষণের জন্য কম আর্দ্রতা, বেশি ঝাঁঝালো, উজ্জ্বল ত্বক ও বেশি ত্বকবিশিষ্ট জাতের পেঁয়াজ উপযুক্ত
# চাষের জন্য রোগ ও ত্রুটিমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে
# ক্ষেতে অতিমাত্রায় সেচ দেওয়া যাবে না
# ক্ষেতে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া দেওয়া যাবে না
# গাছের পুষ্টতা এসে গেলে পেঁয়াজের ডগা অর্থাৎ গলার দিকের ‘টিস্যু’ নরম হয়ে যায়। ফলে পাতা হেলে পড়ে। ফসলের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ গাছের পাতা এভাবে আপনাতেই ভেঙে গেলে পেঁয়াজ সংগ্রহের উপযুক্ত সময় হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। পেঁয়াজ সংগ্রহের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গায়ে ক্ষত না হয়
# পেঁয়াজ সংগ্রহের পর পাঁচ থেকে সাত দিন ঘরে ১০ থেকে ১২ সেমি পুরু করে বায়ু চলাচল সুবিধা রয়েছেÑএমন শীতল ও ছায়াময় স্থানে শুকিয়ে নিতে হয়
# সংরক্ষণের আগে পেঁয়াজ কাটা, ছেঁড়া, পচা, ছোট-বড়, দোডালা প্রভৃতি অনুযায়ী বাছাই ও শ্রেণিবিন্যাস করতে হবে
# সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষণস্থল ও মাচার প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। বাঁশের পাতলা চটা কিংবা সুতলি দিয়ে গেঁথে তৈরি ‘বানা’র ওপর পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা উত্তম। ঘরের সিলিংয়ে বাঁশের মাচা তৈরি করে এর ওপর বানা বিছিয়ে পেঁয়াজ রাখতে হবে। বিভিন্ন শ্রেণির পেঁয়াজ আলাদা আলাদা জায়গায় সংরক্ষণ করা উচিত। টিনের ঘরের সিলিংয়ে রাখলে তা ২০ থেকে ২৫ সেমি পুরু করে রাখা যাবে। খড় বা টালির সিলিংয়ে ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটারের বেশি পুরু করে পেঁয়াজ না রাখাই ভালো। মেঝের দুই ফুট ওপরে তৈরি মাচায় রাখার চেয়ে সিলিংয়ে রাখা উত্তম।
স মাঝেমধ্যে সংরক্ষিত পেঁয়াজ নাড়া দিতে হবে, পচা পেঁয়াজ বাছাই করতে হবে। স্যাঁতসেঁতে দিনে পেঁয়াজের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, এ সময় বাতাসে আর্র্দ্রতা বেশি থাকে, তাই পেঁয়াজ শুকায় না। ফলে পেঁয়াজ পচতে শুরু করে। এ অবস্থায় প্রয়োজনে পেঁয়াজ মাচা থেকে নামিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে পাতলা করে বিছিয়ে শুকিয়ে নিয়ে আবার মাচায় ওঠাতে হবে।

জাত পরিচিতি

বারি পেঁয়াজ-১
এ জাতের কন্দ অধিক ঝাঁঝযুক্ত। জাতটি রবি মৌসুমে চাষ উপযোগী।

বারি পেঁয়াজ-২
জাতটি খরিফ মৌসুম অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে ফলে। এটি স্বল্প সময়ের ফসল। দেখতে গোলাকার। রঙ লাল। আগাম চাষের জন্য মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বীজতলায় বীজ বোনা যায়। এপ্রিলে ৪০ থেকে ৪৫ দিনের চারা মাঠে রোপণ করা যায়। নাবি চাষের জন্য জুন থেকে জুলাইয়ে বীজতলায় বীজ বুনতে হয়।

বারি পেঁয়াজ-৩
গ্রীষ্মকালীন স্বল্প সময়ের ফসল। এটি দেখতে গোলাকার। রঙ লাল। বীজ বোনার জন্য মধ্য জুন থেকে মধ্য জুলাই উপযুক্ত। আগাম চাষের বীজ বোনার উপযুক্ত সময় হচ্ছে মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ এবং এপ্রিলে চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।

বারি পেঁয়াজ-৪
এটি উচ্চ ফলনশীল শীতকালীন পেঁয়াজ। আকৃতি গোলাকার। রঙ ধূসর লাল ও ঝাঁঝালো।

বারি পেঁয়াজ-৫
জাতটি গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী স্বল্প সময়ের ফসল। তবে সারা বছর চাষ করা যায়। বীজ থেকে ফসল উত্তোলন পর্যন্ত ৯৫ থেকে ১১০ দিন প্রয়োজন।

স্থানীয় জাত
স্থানীয় জাতের মধ্যে তাহেরপুরী, ফরিদপুরের ভাতি, ঝিটকা ও কৈলাসনগর উল্লেখযোগ্য। আগাম রবি মৌসুমে এ জাত দুটির ফলন দ্বিগুণ হয় এবং কন্দের মানও উন্নত হয়।

পোকামাকড় ও রোগবালাই
বাংলাদেশে পেঁয়াজের নিম্ন ফলনের অন্যতম কারণ হচ্ছে পোকামাকড় ও রোগবালাই। রোগবালাই আক্রমণের ফলে ফলন হ্রাসের পাশাপাশি বীজের গুণগত মানও কমে যাচ্ছে। তাই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

পোকামাকড়
থ্রিপস
থ্রিপস ছোট আকারের পোকা বলে সহজে নজরে আসে না। এ ধরনের পোকা পাতার রস চুষে খায়। স্ত্রী পোকা সরু, হলুদাভ। পুরুষ গাঢ় বাদামি। বাচ্চা পোকা হলুদ অথবা সাদা। এদের পিঠের ওপর লম্বা দাগ দেখা যায়। এসব পোকা রস চুষে খায় বলে পাতা রুপালি রঙ ধারণ করে অথবা ক্ষদ্রাকৃতির বাদামি দাগ বা ফোঁটা দেখা যায়। আক্রমণ বেশি হলে পাতা শুকিয়ে মরে যায়। কন্দ আকারে ছোট ও বিকৃত হয়।
দমন: সাদা রঙের আঠালো ফাঁদ পেতে এতে মাকড়সার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ পোকা দমন করা যায়। এছাড়া অনুমোদিত কীটনাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

পার্পল ব্লচ
এ রোগে পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। যে কোনো বয়সে গাছের পাতা, কাণ্ড ও বীজ আক্রান্ত হয়। অধিক আক্রমণে পেঁয়াজে ফুল আসে না; ফলনও কম হয়। আক্রান্ত বীজ বেশিদিন গুদামে রাখা যায় না। বাজারদর কমে যায়। অল্টারনারিয়া পোরি নামে এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। রোগটি দেখা দিলে কাণ্ডে প্রথমে ভেজা হালকা বেগুনি রঙের মতো এক ধরনের দাগের সৃষ্টি হয়। পরে বড় দাগে পরিণত হয় এবং আক্রান্ত স্থান খড়ের মতো হয়ে শুকিয়ে যায়। বৃষ্টি হলে এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে। আক্রান্ত বীজ, গাছের পরিত্যক্ত অংশ ও বায়ুর মাধ্যমেও এ রোগ বিস্তার লাভ করে।
দমন: রোগ প্রতিরোধী বা সহনশীল জাতের বীজ ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই রোগমুক্ত বীজ হতে হবে। একই জমিতে পরপর কমপক্ষে চার বছর পেঁয়াজের আবাদ করা যাবে না। গাছের পরিত্যক্ত অংশ ও আগাছা ধ্বংস করতে হবে। অনুমোদিত ছত্রাকনাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

কাণ্ড পচা
সেক্লরোসিয়াম রলফসি ও ফিউজারিয়াম নামের ছত্রাকের কারণে এ রোগ হয়। যে কোনো বয়সে গাছ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কাণ্ড ও শিকড়ে এর আক্রমণ দেখা যায়। আক্রান্ত কাণ্ডে পচন ধরে এবং আক্রান্ত কাণ্ড গুদামজাত করে বেশিদিন রাখা যায় না। আক্রান্ত গাছের পাতা হলদে হয়ে যায় ও গাছ ঢলে পড়ে। টান দিলে আক্রান্ত গাছ খুব সহজে মাটি থেকে কাণ্ডসহ পেঁয়াজ উঠে আসে। আক্রান্ত স্থানে সাদা ছত্রাক ও বাদামি বর্ণের গোলাকার ছত্রাক গুটিকা (সেক্লরোসিয়াম) দেখা যায়। অধিক তাপও আর্দ্রতাপূর্ণ মাটিতে এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
দমন: আক্রান্ত হওয়া মাত্র গাছ তুলে ধ্বংস করতে হবে। মাটি স্যাঁতসেঁতে রাখা যাবে না। আক্রান্ত জমিতে প্রতি বছর পেঁয়াজ চাষ করা যাবে না। অনুমোদিত ছত্রাকনাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

পুষ্টিগুণে অতুলনীয়

# মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
# ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়
# জ্বরের প্রকোপ কমায়
স ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখে
# নিদ্রাহীনতা দূর করে
# স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটাতে বেশ কার্যকর
# প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে ব্রেন, কোলনসহ ঘাড়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শূন্যতে এসে দাঁড়ায়
# চুলপড়া রোধে পেঁয়াজ বেশ কার্যকর
# দাঁতের সংক্রমণ রোধ করে
# অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা রোধে পেঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম। রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এ সবজিটি
#পুড়ে যাওয়া স্থানের জ্বালা ভাব কমায়
# আঁচিল দূর করে
#কাশির প্রকোপ কমায়।