চীন-ইইউ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে ইতিবাচক ও মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে দেখবে ফ্রান্স; এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ইইউ চীনের সঙ্গে আলোচনা ও গঠনমূলক ভূমিকা পালনে উৎসাহী হবে বলেও আশা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বোনের সঙ্গে ফোনালাপে ওয়াং এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক ইইউ-চীন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়ে ফ্রান্সের দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্বেগের রূপরেখা তুলে ধরেন ইমানুয়েল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফ্রান্স দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বারা উপনীত সহযোগিতামূলক ঐকমত্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপ তার কৌশলগত স্বাধীনতা মেনে চলে, একটি সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে এবং ইউরোপীয় বাজার থেকে চীনা কোম্পানি এবং পণ্যগুলোকে বাদ দিতে চায় না। পরামর্শের মাধ্যমে একটি সঠিক সমাধান খুঁজে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ফ্রান্স চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য অংশীদার বলে উল্লেখ করে ওয়াং বলেন, সুস্থ চীন-ইইউ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক উভয় পক্ষের সাধারণ স্বার্থ তুলে ধরে। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন চীন-ইইউ বাণিজ্য দ্বন্দ্বের বিষয়ে তাদের গভীর আলোচনার কথা স্মরণ করেন, যেখানে চীন-ইইউ’র মাঝে বাণিজ্য-যুদ্ধ এড়ানোর বিষয়ে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছিল।
ওয়াং উল্লেখ করেন, চীন ও ফ্রান্স ব্যাপক কৌশলগত অংশীদার এবং দুই রাষ্ট্রপ্রধান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি আরও যোগ করেন, ক্রমবর্ধমান বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চীন-ফ্রান্স সম্পর্ক একটি অনন্য কৌশলগত মূল্য ও তাৎপর্য প্রদর্শন করেছে।
ওয়াং আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যে পার্থক্য রয়েছে, সেগুলোর সঠিক পরিচালনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা রয়েছে।
তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের নীতিগত অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন ওয়াং। ইমানুয়েল বোন নিশ্চিত করেছেন, ফ্রান্স চীনের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং এক-চীন নীতি অনুসরণ করা অব্যাহত রাখবে।
সূত্র: সিএমজি