নতুন ওষুধ গবেষণায় বিশ্বে দ্বিতীয় চীন

নতুন ওষুধ উন্নয়নে চীন এখন বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে যে সব নতুন ওষুধের ওপর গবেষণা চলছে, তার ২০ শতাংশেরও বেশি চীনে তৈরি হচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনের উদ্ভাবিত বেশ কিছু ওষুধ, বিশেষ করে ক্যানসারবিরোধী ওষুধ বাজারজাত করার অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জানুব্রুটিনিব (বাণিজ্যিক নাম ব্রুকিনসা), যা চীনা বায়োটেক কোম্পানি বেইজিন উদ্ভাবন করেছে। এটি একটি শক্তিশালী বিটিকে ইনহিবিটর, যা মার্কিন ওষুধ ইব্রুটিনিবের তুলনায় বেশি কার্যকর ও নিরাপদ বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে।

ওষুধ মহলে ‘স্টার প্রোডাক্ট’ হিসেবে খ্যাত এই ওষুধ। চীনের প্রথম ‘বিলিয়ন-ডলার মলিকিউল’ ব্রুকিনসা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জাপানসহ ৭৫টি বাজারে অনুমোদন পেয়েছে।

এ ছাড়া চীন নিজস্বভাবে ফোটন কাউন্টিং সিটি স্ক্যানার, সার্জিক্যাল রোবট, ইসিএমও মেশিন ও কৃত্রিম হৃদপিণ্ড তৈরি করেছে। এসব উদ্ভাবন উন্নত চিকিৎসা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে ভূমিকা রাখছে।

টিকাদান কর্মসূচিতেও বড় অগ্রগতি এসেছে। সম্প্রতি চীনের উদ্ভাবিত নাইন-ভ্যালেন্ট এইচপিভি ভ্যাকসিন চালু করেছে চীন। এ বছর থেকেই এই ভ্যাকসিন জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হবে।

সূত্র: সিএমজি বাংলা

cancerchinamedicine