প্রযুক্তির সমন্বয়ে বাস্তবমুখী মহড়া চালাল পিএলএ

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইউনিটগুলো সম্প্রতি বাস্তবমুখী কিছু মহড়া চালিয়েছে। মহড়ায় মানব ও মানববিহীন সিস্টেমের সমন্বয়ে কার্যক্রম দেখানো হয়েছে। এ মহড়ার উদ্দেশ্য—যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়ানো, সৈনিকদের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা উন্নত করা।


উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনচিয়াংয়ে এক প্রশিক্ষণ রেঞ্জে করানো হয় বাধা-অতিক্রম মহড়া। এতে অনেকগুলো ড্রোন আকাশে উড়ে আগে শত্রুর অবস্থান চিহ্নিত করেছে এবং রিয়েল-টাইম তথ্য পাঠিয়েছে। এরপর সৈন্যদলকে ঢেকে রাখতে ধোঁয়ার পর্দা তৈরি করে আরেক দল। ছোট ট্র্যাকড ভেহিক্যালগুলো শত্রুর গুলি ছোড়ার স্থান নির্ধারণ করে।
গ্রাউন্ড রোবটকে দেখা যায় কাঁটাতার কাটতে। ম্যানুয়ালিও কাজ করে বিস্ফোরক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দল। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুত খুলে যায় অবরুদ্ধ অংশ।
কমান্ডার লিউ হুই বলেন, ‘মানুষ ও মনুষ্যবিহীন প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমাদের আকাশে চোখ আর ভূমিতে আছে ঢাল আছে।’
বিস্ফোরক নিস্ক্রিয়করণেও রোবটিক সিস্টেম ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে পিএলএ’তে। এক যৌথ লজিস্টিক ইউনিটের মহড়ায় ড্রোন-রিকনেসাঁ মাইন সন্ধান করা হয়। দুটি দল ড্রোনের নির্দেশে চার্জ যাচাই করে। লাইভ ফুটেজ থেকে অপারেটররা বিস্ফোরকের অবস্থান চিহ্নিত করে এবং ৩ডি মানচিত্র তৈরি করে।
এরপর দুটি ট্র্যাকড রোবট ক্রমান্বয়ে এগিয়ে আবরণ সরায়, বোমার ধরন চিহ্নিত করে ও ঝুঁকির মাত্রা মূল্যায়ন করে। এরপর ড্রোন ও রোবটের নিরাপত্তা আড়ালে বিশেষ পোশাক পরে টেকনিশিয়ানরা তাদের কাজ করেন।

সূত্র: সিএমজি