শাংহাইয়ের ব্রাজিল সেন্টারে এক বৈশ্বিক গোলটেবিল বৈঠকে মহাকাশ গবেষণায় চীন-ব্রাজিল ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারি কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তা মিলিয়ে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৮০ জন অতিথি। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বিংগো টেলিস্কোপ ও ন্যানো-স্যাটেলাইট—যা ষষ্ঠ চীন-ব্রাজিল ইনোভেশন উইকের অন্যতম আকর্ষণ এবং ২০২৫ সালের পুচিয়াং ইনোভেশন ফোরামের সাইড ইভেন্ট হিসেবেও আয়োজন করা হয়েছে।
ব্রাজিলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড্যানিয়েল আলমেইদা বলেন, ‘বিংগো প্রকল্প হতে পারে চীন-ব্রাজিল মহাকাশ সহযোগিতার আরেকটি দৃষ্টান্ত, যেমন চীন-ব্রাজিল আর্থ রিসোর্সেস স্যাটেলাইট কর্মসূচি বা সিবার্স।’ গত ৩৭ বছর ধরে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অংশীদারিত্বের প্রতীক এটি।
এবারের বিংগো টেলিস্কোপ প্রকল্পকে বলা হচ্ছে নতুন যুগের সহযোগিতা। ব্রাজিলের পারাইবা প্রদেশে অবস্থিত এই রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে মহাবিশ্বের প্রসারণ, অন্ধকার শক্তি ও ব্যারিয়ন অ্যাকুস্টিক কম্পন শনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে। চীন ও ব্রাজিলের প্রায় ২০০ বিজ্ঞানী এ গবেষণায় যুক্ত।
ব্রাজিলের গবেষক প্রফেসর আমিলকার কুইরোজ জানান, ‘২০২৬ সালের শুরুতেই টেলিস্কোপটি দাঁড়িয়ে যাবে। এরপর রিসিভার, কম্পিউটার স্থাপন ও ক্যালিব্রেশন কাজ শেষ হলে এটি চালু হবে।’
এ আলোচনায় ন্যানো-স্যাটেলাইটকেও সহযোগিতার অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কম খরচে, অল্প সময়ে এবং বহুমুখী কার্যকারিতার কারণে এগুলো এখন চীন-ব্রাজিল মহাকাশ সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলছে।
সূত্র: সিএমজি