চাঁদে বসতি নির্মাণের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোলো চীন। প্রথম দফায় এক বছর মহাকাশে থাকার পর শেনচৌ-২১ মহাকাশযানে করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা পরীক্ষামূলক ‘চাঁদের ইট’-এর নমুনাগুলো ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা।
২০৩০ সালে চাঁদে নভোচারী পাঠাতে চায় চীন। ২০৩৫ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা কেন্দ্রের একটি মৌলিক মডেল তৈরির লক্ষ্যও রয়েছে দেশটির।
চাঁদের মাটি দিয়ে ইট বানালে যেমন হবে, তেমনই কিছু ‘সিমুলেটেড ইট’ তৈরি করে হুয়াচোং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তিং লিয়েইয়ুনের নেতৃত্বাধীন গবেষণা দল। এরপর এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয় ২০২৪ সালের নভেম্বরে। থিয়ানচৌ-৮ কার্গো শিপে করে থিয়ানকং মহাকাশ স্টেশনে নেওয়া হয় ৭৪টি ‘চাঁদের ইটের’ নমুনা। নমুনাগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় মহাকাশ স্টেশনের বাইরে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা হয়।
তিং জানালেন, তিন বছরব্যাপী এই গবেষণায় প্রতি বছর এক ব্যাচ করে নমুনা ফিরিয়ে এনে বিশ্লেষণ করা হবে।
চিলিন প্রদেশের ছাংবাই পাহাড়ের আগ্নেয় ছাই ব্যবহার করে হট-প্রেস সিন্টারিং পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় ইটগুলো। সাধারণ ইটের চেয়ে তিনগুণ বেশি চাপ নিতে পারে এগুলো। ক্ষতিকর বিকিরণ ও মাইনাস ১৯০ থেকে প্লাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চরম তাপমাত্রাতেও টিকে থাকতে পারে এই ইট।
প্রচলিত চীনা খিলান-কাঠামোর নকশায় তৈরি করা হয় বিভিন্ন আকারের ইট। রোবটিক সিস্টেম এবং থ্রি-ডি প্রিন্টিং যুক্ত করে এগুলোকে লেগো ব্লকের মতো জোড়া দেওয়ার প্রযুক্তিও তৈরি করেছে চীন।
সূত্র: সিএমজি বাংলা