শাহনাজের পরিবার তাতে রাজি হয় এবং ফারুক প্রথম দিনের চিকিৎসা শেষে জানায়, রোগীকে তার বাসায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফারুক শাহনাজকে মিজমিজিতে চৌধুরীপাড়ায় নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার কবিরাজি চিকিৎসার নামে রোগীর ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। তারা শাহনাজকে ঝাড়ু দিয়ে পেটায় এবং পরে তাঁর হাত ও পায়ের আঙুল মুচড়ে দেয়। এসময় প্রচণ্ড যন্ত্রণায় শাহনাজ চিৎকার করলে তার গলায় এবং বুকে পা দিয়ে চেপে ধরে ফারুক। এসময় সে ‘জিনকে’ উদ্দেশ্য করে চলে যেতে বলে। কিন্তু নির্যাতনের একপর্যায়ে শাহনাজ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এ সময় ফারুক সেখানে উপস্থিত শাহনাজের পরিবারের সদস্যদের বাসায় চলে যেতে বলেন। পরদিন বুধবার বিকেলে শাহনাজের পরিবারের লোকজন কবিরাজ ফারুকের বাসায় যায় শাহনাজের অবস্থা জানতে। কিন্তু গিয়ে দেখে মৃতদেহ ফ্লোরে চাদর মোড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। বুধবার রাতেই শাহনাজের মা সুরাইয়া বেগম বাদী হয়ে কদমতলী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার সূত্রে ওই রাতেই ভণ্ড কবিরাজ ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জসিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফারুক হোসেন চাঁদপুরের উত্তর মতলবের মান্দার আলী এলাকার বাসিন্দা।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, কবিরাজ দম্পতিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে।