তিনি টিকেট কেটে যাচ্ছেন ভেতরের মানুষগুলোকে দেয়ার জন্যে

কমলাপুর স্টেশনের ৫ নম্বর কাউন্টারের ঘটনা।

আজকে (গত রবিবার) দুপুরে কমলাপুর স্টেশনে গিয়েছিলাম ১৮ বা ১৯ তারিখের রিটার্ন টিকেট কাটতে। শুনলাম ৫ নম্বর কাউন্টারে রিটার্ন টিকেট দিচ্ছে। লাইন বেশি বড় ছিলো না কাউন্টারে। আমার সামনে মাত্র ৮/৯ জন। কিন্তু এই লাইন আর আগায় না। ১ ঘণ্টার ওপরে দাঁড়িয়েই আছি কিন্তু লাইনের সবার সামনের জন তখনো টিকেটই পায় না।

উঁকি দিয়ে দেখি কাউন্টারের ভিতরে এই জানোয়ার ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কানে ফোন লাগিয়েই রাখছে আর ফোনের নির্দেশ মতো সমানে টিকেট বানিয়ে বানিয়ে আলাদা সরিয়ে রাখছে। আর ওদিকে কাউন্টারের ভিতরে প্রায় ৫/৬ জন মানুষ হাতে রেফারেন্স নিয়ে দাঁড়ায় আছে টিকেটের জন্য। কোথায় নিয়ম আছে জানি না যে কাউন্টারের ভিতরে ঢুকে টিকেট নেওয়া যায়!

ফোনের দফা একটু শেষ হলেই ভিডিও’র এই জানোয়ার ভিতরের মানুষগুলোকে টিকেট দেওয়া শুরু করলো। এদিকে আমরা সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েই আছি ১ ঘণ্টার ওপর ধরে এক চুল না নড়েই!
আমাদের চোখের সামনেই  প্রায় ৫০/৬০ টা টিকিট ভেতরের একজনের হাতে দিয়ে মোটা একটা টাকার বান্ডিল হাতে নিলো। বান্ডিল থেকে ১০০০/৫০০ টাকার নোট নিজের জানান দিচ্ছে।
বাহিরের মানুষ এদিকে সমানে বকে ওই হারামজাদার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছে। কিন্তু ওর কোনো ভ্রুক্ষেপই নাই!

এই দৃশ্য দেখে আমি ততক্ষণে লাইন থেকে সামনে যেয়ে ভিডিও করা শুরু করি। এই হারামজাদা তখন আবার আরও টিকেট বানাচ্ছে যেই টিকিট গুলো সামনে পরে আছে।

আমি ভিডিও করছি দেখে এই জানোয়ারের বাচ্চা হাত বাড়িয়ে আমার ফোন কেড়ে নিতে চাচ্ছিলো। কতো বড় সাহস হলে অয় সবার সামনেই ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রি করে আবার ভিডিও করলে ফোন কেড়ে নিতে চায়!
এদিকে আমার ফোন কেড়ে নিতে চাওয়া দেখে লাইনের সব মানুষ চিল্লায় উঠে ওর গুষ্টি উদ্ধার করতেছিল।

আর ঠিক স্টেশনেই কিন্তু র‍্যাব আর পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো আছে আর ওইখানে অনেক র‍্যাব পুলিশ চোখে টিনের চশমা লাগিয়ে ডিউটিও দিচ্ছিলো!

এই জানোয়ারটাকে কি শিক্ষা দেওয়া যায় না? ভিডিওটা কি ভাইরাল করে দেওয়া যায়না যাতে ওপর মহলের ভালো কারো চোখে পরে আর এই জানোয়ারটাসহ ওইখানের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে? সবাই একটু চেষ্টা করি?

ফেসবুক থেকে সংগৃহিত  সূত্র : কালের কণ্ঠ