আশু মহারাজ, তার বন্ধুবান্ধব এবং ছেলের হাতে তিনি বারবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। ২০০৮ থেকে ২০১৩, এই পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত শারীরিক অত্যাচারও চালানো হত তাঁর ওপর। শুধু তাই নয়, আশু মহারাজ অভিযোগকারিণীর মেয়েকেও আশ্রমে নিয়ে আনতে আদেশ দিয়েছিল। সেই মতো নাবালিকা কন্যাকে আশ্রমে নিয়ে এলে তাঁকেও ধর্ষণ করে আশু মহারাজ। কোথাও কোনও অভিযোগ জানানো হলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
অবশেষে গত সপ্তাহে নয়াদিল্লির হউজ খাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। প্রাথমিক তদন্তের পর আসরে নামে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালানো হয় নয়াদিল্লিতে এই ‘বাবা’র আশ্রমে। আশু মহারাজের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে তার ছেলে সময় খানকেও। আশ্রমের ‘কাজকর্ম’ বাবা-ছেলে মিলেই সামলাতেন বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাদের জেরা করলে আরও কুকীর্তির সন্ধান মিলতে পারে এমনটাই অনুমান পুলিশের।