সফল এক মিশন শেষ করে ৭ জন ক্রু নিয়ে ফিরছিলো স্পেস শাটল কলাম্বিয়া। কিন্ত তারা কেউ কি জানতেন, পৃথিবীতে আর ফিরতে পারবেন না তাদের কেউ ? ৭ জনের মাঝে একজন ছিলেন ভারতীয় নভোচারী কল্পনা চাওলা যিনি বলেছিলেন, মহাশূন্য থেকে পৃথিবীকে দেখার অনুভূতি নিয়ে ফিরবার চেয়ে বেশি আনন্দের আর কী হতে পারে?
আজ থেকে ৩০ বছর পর আমার কী হবে তাতে কিছু যায় আসে না বলেছিলেন পাইলট ম্যাককুল। কারণ শীঘ্রই আমি জীবনের স্বাদ পেতে যাচ্ছি। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা করেন তারা। ১৬ দিনের এক বৈজ্ঞানিক মিশনে গিয়েছিলেন তারা। পৃথিবীর কক্ষপথে নিজে চোখে মহাশুন্য দেখার আনন্দও তারা প্রত্যেকেই পেয়েছিলেন। কেউ গিয়েছিলেন প্রথমবার আর কারো জন্য সেটিই ছিল শেষবার!
কিন্ত সে আনন্দের কথা ফিরে এসে বলতে পারেননি তারা। তবে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলো তারা ঠিকমতোই শেষ করেছিলেন। বায়ুমগুলে প্রবেশের সময় সকলের চোখের সামনে বিস্ফোরিত হয় কলাম্বিয়া কন্ট্রোল রুমের কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না কী হলো !
চোখের পলকে প্রাণ হারালেন একটু আগেও কৌতুক করতে থাকা মানুষগুলো, হয়তো একদিন মানুষ ঠিকই জয় করে নেবে অনন্ত নক্ষত্রবীথি। আর বসবাস করবে দূরের সব গ্রহ – উপগ্রহে। তখনও শ্রদ্ধাভেরে স্মরন করা হবে নিহত এ নভোচারীদের নাম। বেঁচে না থাকালেও যাদের অবদানে এগিয়ে গিয়েছে মহাকাশ –বিজ্ঞান। সূত্র: রয়ার বাংলা