লন্ডনে মইনুল হোসেনের শাস্তির দাবিতে নারীদের প্রতিবাদ

যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিশ্ব নারী সমাজেরপক্ষ থেকে নারী অবমাননাকারী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছে যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগ।

বুধবার পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি হলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসলিমা শামস বনি।

প্রতিবাদ সমাবেশে যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও নিন্দার সাথে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন লাইভ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক লম্পট, পাকিস্তানের এজেন্ট,বাংলাদেশের রাজনীতির কালো অধ্যায় ১/১১-এর মদদদাতা ব্যরিষ্টার মঈনুল ইসলাম, একজন বহুল পরিচিত নারী সাংবাদিক ও লেখিকা মাসুদা ভাট্টিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ‘চরিত্রহীন’ বলে সারাবিশ্বের নারী সমাজকে অপমানিত করেছেন। নারীদের তিনি অসম্মানিত করেছেন এবং নারী জাতির প্রতি বিদ্বেষভাব দেখিয়েছেন।

রাজনৈতিক টকশো-তে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি’র একটি রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তরে একজন নারীর উপর বিদ্বেষমূলক আক্রমণ, সমগ্র নারী সমাজের প্রতি এই ব্যারিষ্টার সাহেব তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী, নারীদের প্রতি ঘৃণা আর হিংস্রতার নিকৃষ্ট পরিচয় দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদেরকে। বিশেষ করে দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্য সৃষ্টির জন্য নারীদের কে বিশেষ মর্যাদার আসীনে নিয়ে গেছেন। সরকার, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যাংক বীমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ সর্বক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের মানুষকে কর্মমূখী করে উন্নয়ণশীল বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নারী শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রী অব পিস‘, নারী শিক্ষা ও নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রগতি অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ’ এ্ওয়ার্ড ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ড’ পেয়ে বাংলাদেশের মুখকে বিশ্ব দরবারে উজ্বল করেছেন। ঠিক তখনই একাত্তর ও পচাত্তরের ঘাতকরা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।আর এই ষড়যন্ত্রের একজন হোতা হিসাবে ব্যারিষ্টার মইনুলের মত বুদ্ধিজীবীরাও অংশগ্রহণ করছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বিতর্কিত ভূমিকা, ৭৫ এ খন্দকার মুশতাক আর খুনী জিয়াচক্রের সাথে তার আতাত, নিকট অতীতে যুদ্ধপরাধীদের ছাত্র সংগঠন – ছাত্র শিবিরের সভায় তার স্বরব উপস্হিতিও অংশগ্রহণ, তাদের নিজস্ব পত্রিকা অফিসে খুনের ঘটনায়ই আপন ভাইকেজড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা এই মইনুল হোসেনের।

যুদ্ধপরাধী, ২১ আগস্টের খুনি ও পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যাকারীদের সাথে ঐক্যফ্রন্ট করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন ষড়যন্ত্রের জালবোনার প্রক্রিয়ায় সৎ ও সাহসী সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে তিনি এই জঘন্য অবমাননাকর আক্রমণ করেছেন বলেআমরা মনে করছি। আমরা বিশ্ব নারী সমাজের পক্ষ থেকে এই কুলাঙ্গারএর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান মানহানীর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবী করেন।

নারীদের অবমাননাকারী কুলাঙ্গার, বেয়াদব মইনুল হোসেনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ভবিষ্যতে যাতে এ রকম নিকৃষ্ট কাজ করতে আর কউ সাহস না করে তার ব্যবস্থা করতে মাননীয় আদালত ও সরকারের কাছে জোর আবেদন জানান।

তারা বলেন, এ্ই ব্যারিষ্টার ও তার সহযোগীদের একবিংশ শতাব্দীতে কোন দেশেই রাজনীতি করার ও মানুষের জন্য কথা বলার অধিকার থাকতে পারে না। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগন ঐসব কুলাঙ্গারেদের রাজপথে তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।

দেশের প্রচলিত আইনে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান করে নারী সমাজসহ সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মধ্যে সরকারের প্রতি গভীর আস্থা পুন:স্থাপনের দাবি জানান মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে ব্তব্য রাখেন নারীনেত্রী মেহের নিগার, আঞ্জুমান আরা অঞ্জু, হোসনে আরা মতিন, শাহিনা আক্তার প্রমূখ।