হাতে ধরা একটি ব্যাগ। হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকেই তা থেকেএকটি কাটা মুণ্ড বার করল এক যুবক। পুলিশের কাছে তার দাবি, ওই মুণ্ডটি তার স্ত্রীর। নিজের হাতেই তাঁকে খুন করেছে সে।এর পর পুলিশের কাছেধরা দিতে এসেছে। এ ঘটনা কর্নাটকের চিকমাগালুর শহরের। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে রবিবার ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর তিরিশের ওই অভিযুক্তের নাম সতীশ। ন’বছর আগে রূপার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। তাঁদের দু’টি সন্তানও রয়েছে। সতীশের অভিযোগ, তার গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রূপার। ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করতে স্ত্রীকে বহু বার বারণও করেছিল সতীশ। তা সত্ত্বেও ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা চালিয়ে যান রূপা। এ নিয়ে ওই যুবককেও হুমকি দিয়েছিল সতীশ।
রবিবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরু থেকে নিজের বাড়িতে ফেরে সতীশ।অভিযোগ, সেখানে স্ত্রীর সঙ্গে ওই যুবককে দেখে রাগে অন্ধ হয়ে একটি ধারাল অস্ত্র নিয়ে দু’জনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সতীশ।ওই অস্ত্র দিয়েই দু’জনকে বার বার কোপাতে থাকে সে। হামলায় গুরুতর জখম হলেও সেখান থেকে কোনও রকমে পালিয়ে যান ওই যুবক। তবে সতীশের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি রূপা। ধারাল অস্ত্র দিয়েই রূপার ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেয় সতীশ।এর পর একটি ব্যাগে রূপার মুণ্ড পুরে মোটরসাইকেলে রওনা দেয় থানার দিকে। প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে থানা। থানায় ঢুকে ব্যাগ থেকে স্ত্রীর মুণ্ড বার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সতীশ। সব ঘটনাও খুলে বলে সে। সতীশের কথা শোনার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চিকমাগালুরের পুলিশ সুপার অন্নামালাই কাপ্পাস্বামী জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে সতীশকে ৩০২ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কাপ্পাস্বামী বলেন, “সমস্ত ধরনের আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে সতীশকে এক দিনের জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
Post Views: 1,483