অনেকেরই কাছে স্বপ্নের দেশ আমেরিকা। দেশটিতে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আছে এ স্বপ্নপূরণের সুযোগ। আমেরিকার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। যদিও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান জানুয়ারি ও মার্চ সেশনেও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। মনে রাখবেন, আমেরিকায় ভর্তির ক্ষেত্রে এ তিনটি যোগ্যতা থাকতেই হবে_ভালো একাডেমিক ফল, আর্থিক সচ্ছলতা এবং ইংরেজিতে দক্ষতা।
টোফেল লাগবেই
আমেরিকায় ভর্তির ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতার সনদ হিসেবে অবশ্যই ভালো টোফেল স্কোর থাকতে হবে। পাশাপাশি কোর্সভেদে স্যাট, জিমেট, জিআরই পরীক্ষাও দিতে হতে পারে। আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণত দরকার পড়বে পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত কপি, টেস্ট স্কোর (টোফেল, স্যাট ইত্যাদি), সুপারিশপত্র, আবেদন ফি, আর্থিক সচ্ছলতার কাগজপত্র।
আবেদন জেনেশুনে
আবেদনপত্র পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তির যোগ্যতা বিবেচনা করে ফিরতি চিঠিতে শিক্ষার্থীর আবেদন ‘গ্রহণ’ কিংবা ‘প্রত্যাখ্যানের’ খবর জানিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীকে যোগ্য মনোনীত করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘অ্যাঙ্পেটেন্স লেটার’ এবং ‘আই ২০’ ফরম পাঠিয়ে থাকে। এর পরই শিক্ষার্থীকে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অনুমোদিত ভিসা সেন্টারের মাধ্যমে। ঠিকানা : সাইমন ওভারসিজ, বাড়ি-৪এ, রোড-২২, গুলশান-১, ঢাকা।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানা যাবে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবে (http://dhaka.usembassy.gov/student-visas.html)।
পরামর্শ দেবে আমেরিকান সেন্টার
ঢাকাস্থ যু্ক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পরিচালিত আমেরিকান সেন্টারের ‘এডুকেশন অ্যাডভাইজিং সেন্টার’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমেরিকায় পড়াশোনার তথ্য ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ সেবা পাবেন রবি থেকে বৃহস্পতিবার। তারা শিক্ষার্থীদের দলীয়ভাবে পরামর্শেরও (গ্রুপ অ্যাডভাইজিং) সুযোগ করে দেয়। পরামর্শ সেবা পেতে যোগাযোগ করতে পারেন এ ঠিকানায়_প্লট-১, ব্লক-জে, প্রগতি সরণি, বারিধারা, ঢাকা।