আগামীকাল (১ নভেম্বর ২০১৮) থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে জেএসসি পরীক্ষা। আশা করি, ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছ। তোমরা ইতোমধ্যে বাংলা বিষয়ের নতুন প্রশ্নকাঠামো ও মানবণ্টন সম্পর্কে জেনেছ। যেহেতু নতুন প্রশ্নকাঠামোর আলোকে তোমাদের বাংলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে তোমরা আরো ভালোভাবে জেনে নেবে।
জেএসসি পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে সৃজনশীল অংশে রয়েছে ৪০ নম্বর। সৃজনশীল উত্তর দেয়ার আগে ভালোভাবে উদ্দীপক পড়ে বুঝে নেবে। উদ্দীপক না বুঝে লিখলে উত্তর যথাযথ হবে না। অনেকে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে উদ্দীপক ভালোভাবে না বুঝে উত্তর লিখে। এটা করা ঠিক নয়। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরে অপ্রাসঙ্গিক কথা না লিখে প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে তা গুছিয়ে লিখতে হবে। প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্দীপকের সাথে তোমার পঠিত গদ্য অথবা কবিতার সাদৃশ্য/ বৈসাদৃশ্য কোথায় তা প্রশ্নের আলোকে উত্তর লিখবে। এজন্য গদ্য এবং কবিতাগুলোর পাঠ-পরিচিতি ভালোভাবে আয়ত্ব করবে।
নির্মিতি অংশে রয়েছে ৩০ নম্বর। এখানে সারাংশ/ সারমর্ম, ভাব-সম্প্রসারণ, চিঠি/ আবেদনপত্র এবং প্রবন্ধ রচনা লিখতে হবে। এ অংশের প্রস্তুতির জন্য তোমরা ‘বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বইটি ভালোভাবে পড়বে। প্রবন্ধ রচনা লেখার সময় রচনা যেন বর্ণনামূলক এবং তথ্যবহুল হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। এজন্য আগে থেকেই প্রস্ত‘তি নিতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী রচনার জন্য ভালোভাবে প্রস্ত‘তি না নিয়ে বানিয়ে রচনা লিখে। এটা ঠিক নয়। রচনার জন্য অবশ্যই পূর্ব-প্রস্ত‘তি দরকার।
বহু নির্বাচনি (এমসিকিউ) অংশে রয়েছে ৩০ নম্বর। বাংলা ১ম ও ২য় পত্র থেকে এখানে প্রশ্ন থাকবে। বহু নির্বাচনি (এমসিকিউ) অংশে ভালো করতে হলে পাঠ্যপুস্তক ভালোভাবে বুঝে পড়তে হবে। পড়ার সময় যে তথ্যগুলোকে তুমি গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে সেগুলো দাগ দিয়ে রাখবে। তাহলে পড়ার সময় এগুলো বিশেষভাবে নজরে আসবে।
পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনার দিকে খেয়াল রাখবে। একটি প্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত সময় দিতে গিয়ে যেন অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আসতে হয়। পুরো ১০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবে।