২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস্টার ভর্তি: পরীক্ষা কবে?

ক্লাস্টার পদ্ধতিতে ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, পরীক্ষা ফিসহ একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।

সেশনজট কমাতে পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা হবে। সামান্য বাড়তে পারে পরীক্ষা ফি।

এসব বিষয়ে আগামী ৩০ মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত উপাচার্যদের একটি সভা শেষে এসব বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজ আমাদের প্রস্তুতিমূলক মিটিং হয়েছে। এবার আমরা চেষ্টা করছি ভর্তির পর মাইগ্রেশন হলে আবার টাকা দেয়ার প্রয়োজন যাতে না হয়। আমরা এবার চেষ্টা করব একসাথে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে, যাতে ক্লাস শুরু করতে বিলম্ব না হয়।’

পরীক্ষার তারিখ এগিয়ে নেয়া ও ফি বাড়ানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার ফি বাড়তে পারে; কারণ সবকিছুর দাম বেড়েছে। তবে খুব বেশি বাড়ানো হবে না। আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষার সময় এগিয়ে নিতে। অন্তত দেড়মাস এগিয়ে নিতে পারলেও, সেশনজট অনেকটা কমাতে পারব আমরা।’

ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘গতবার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র বাছাই দিতে হয়েছিল অনেকগুলো। কিন্তু এবার কেন্দ্র হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে বলা হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র পছন্দ থাকবে, সেই বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে তাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেয়া যায়। একটি কেন্দ্রের অধীনে আশেপাশের স্কুল-কলেজে সিট পড়তে পারে। নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে ভোগান্তি নিয়ে যেন পরীক্ষা দিতে না হয় সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষার তারিখ, ফিসহ সব বিষয়ে আগামী ৩০ মে পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভা শেষে ফি, পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।’

 

ইমদাদুল হক বলেন, ‘আগে একজন শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পরে তা বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে দুই জায়গায় ফি দেয়া লাগতো। এবার আমরা মাইগ্রেশনের বিষয়টি চালু করব, সাথে ভর্তি ফির বিষয়টিও সংযুক্ত করব; যেন কেউ এক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে ফি সমন্বয় করে দেয়া যায়।’

গত ৮ এপ্রিল গুচ্ছের সমন্বয় কমিটির সভায় এই পদ্ধতিতে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর, ১০ সেপ্টেম্বর মানবিক আর সবশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

ক্লাস্টারভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ছাড়া রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ভর্তিভর্তি পরীক্ষা