যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির তথ্য ও দরকারি নির্দেশিকা এখন থেকে বাংলাতেই পাওয়া যাবে। ভর্তি তথ্য, আবেদন, বৃত্তি, বিষয়ভিত্তিক ভর্তি যোগ্যতা, খরচ কেমন হবে- সব তথ্যই পাওয়া যাবে বাংলায়। বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের জন্য এসব তথ্য ও নির্দেশিকা সরবরাহ করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। অনলাইনে নির্দেশিকা পেতে ক্লিক করুন এ লিংকে- http://www.britishcouncil.org/bangladesh-education-study-in-uk-education-information-sheets-bangla.htm
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন সেশন। আবেদন বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি থেকে বোঝা যায় যে, যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে।
ইউকাসের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ থেকেও যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার জন্য আবেদনের পরিমাণ বেড়েছে। সংস্থাটির বহিঃসম্পর্ক বিভাগের পরিচালক হেলেন থ্রোন বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে খুবই জনপ্রিয়। এর মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষার মান ও অভিজ্ঞতা। আরও কিছু কারণ রয়েছে। যেমন পাউন্ডের দাম কমায় পড়াশোনার খরচও অনেকটা আয়ত্ত্বে চলে এসেছে।’
এবারের শরতে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দুনিয়ার নানা প্রান্তের এক লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ইইউ’র শিক্ষার্থীদের আবেদন জমা পড়েছে ৪৩ হাজার ৫১০টি। যা গত বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। অন্যান্য দেশ থেকে জমা পড়েছে ৫৮ হাজার ৪৫০টি। গত বছরের তুলনায় যা ১১ শতাংশ বেশি।
এই সংখ্যাটি এমন সময় প্রকাশ হলো যখন আলোচনা চলছে যে ব্রিটিশ সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া কমিয়ে দেবে কি না। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সংখ্যা কমে গেলে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদেশ থেকে আসা অর্থের পরিমাণ অনেক কমে যাবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার আগের অবস্থান থেকে অনেকটা নমনীয় হয়ে এসেছেন। ইতোপূর্বে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করলে দীর্ঘমেয়াদী কোনও সুফল আসে না।