পড়াশোনাকে ব্যায়াম হিসেবে দেখো : বদলে যাবে রেজাল্ট

বই পড়া আমাদের শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে, দৃষ্টিভঙ্গি প্রশস্ত করে, আমাদের নতুন ধারণার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এটি এমন একটি অভ্যাস যা সাফল্যের চাবিকাঠি হিসাবে বিবেচিত হয়। নিউরোসায়েন্সের মতে, বই পড়া আমাদের মস্তিষ্ককে শুধু তথ্য দিয়েই পূর্ণ করে না বরং এটি অন্যান্য কাজ আরও ভালোভাবে করে। অবসেসিভ রিডিং আমাদের মস্তিস্ক যেভাবে চিন্তা করে এবং জিনিসগুলোকে আরও ভাল উপায়ে প্রক্রিয়াকরণ করে তা পুনর্নির্মাণ করতে পারে।

কেন প্রতিদিন পড়বে

আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন আমরা আমাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে নিত্যনতুন জিনিস পড়তে এবং শিখতে অনেক বেশি আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু স্কুল-কলেজের গ্যাঁড়াকলে পড়েও আর ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আমরা অনেকেই বই পড়ার অভ্যাসটা হারিয়ে ফেলি৷ বই পড়া সব বয়সের লোকেদের জন্য অপরিহার্য, এমনকি আপনার আগ্রহের বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়ার জন্য মাত্র ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করে এর সুবিধাগুলো অর্জনের জন্য যথেষ্ট। কারণ বই পড়ার অনেক স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা রয়েছে। এটি শুধু আপনার চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর একটি উপায় নয়, এটি এক ধরনের মানসিক অনুশীলনও বটে, যা যেকোনো একটি শারীরিক অনুশীলনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

কীভাবে মস্তিষ্ক ক্ষুরধার করবে

যদিও এই ক্ষেত্রে এখনও অনেক বেশি গবেষণার প্রয়োজন, তবুও বিশেষজ্ঞরা সম্মত হন যে বই পড়া মূলত একটি সহানুভূতির অনুশীলন। এটি আমাদের অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করে যা আমাদের থেকে বেশ আলাদা এবং তা আমাদের ইমোশনাল কোশেন্ট (EQ) বৃদ্ধি করে। পড়ার প্রভাব বোঝার জন্য করা এক গবেষণায় গবেষকরা মস্তিষ্কের তরঙ্গের উপর এর প্রভাব দেখতে পান।  বিকল্প পথ কল্পনা করার, বিশদ বিবরণ, দৃশ্য মনে রাখার এবং জটিল সমস্যার মধ্য দিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এটি তোমাকে আরও জ্ঞানী, বুদ্ধিমান করে তোলে এবং আপনাকে সাফল্যের এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে যায়।

 

কী হয় যদি না বই পড়েন

পড়া এক ধরনের মানসিক কার্যকলাপ যা দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ হওয়া উচিত। অন্তত ৩০ মিনিট ঘুমানোর আগে পড়ার অভ্যাস করো। আপনি যা পড়েন তা বিবেচ্য নয়, তা কাল্পনিক, অ-কাল্পনিক, পৌরাণিক বা রাজনৈতিক হোক না কেন,  পড়ার অভ্যাসটি ছেড়ে দিও না।

লিখেছেন: মুসাররাত আবির

educationkidztips