গণিতের কথা শুনলেই যাদের হার্টবিট বেড়ে যায় তারা চাইলে সহজেই দূর করতে পারো এই ভীতি। তাদের জন্য রইল কিছু গণিতের টিপস
ভয়টা কীসের?
প্রথমেই ভাবো, কেন ভয় পেতে হবে? অংকে ভালো করতে হলে আগে ভয়ের কারণ নিয়ে ভাবো। অমুকে গণিতে ভয় পায় বলে আমাকে ভয় পেতে হবে কেন? গণিত হলো ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার বস্তু। একটা ধাপ বাকি রেখে তুমি পরের ধাপে যেতে পারবে না। যারা এই ধাপগুলো অবচেতন মনে এড়িয়ে যাও, তাদের ভেতর ভীতি জন্মানোই স্বাভাবিক। কারণ সে পরের ধাপগুলো বুঝতেই পারে না। এর বাইরে শুধু শুধু ভয় পাওয়াটা অর্থহীন। কথা বলো বন্ধুদের সঙ্গে। তারা কে কোন ধরনের অংককে ভয় পাচ্ছে, কেন পাচ্ছে সেটা নিয়ে দরকার হলে একটা ছোটখাট গবেষণা করে ফেল। ভয়ের কারণগুলো ও অজানা টপিকগুলোর নোট নাও। এসব করতে করতে দেখবে গণিতের ভেতরে ঢুকে পড়ছো তুমি। এরপর ভয় কেটে গেলেই সব জলের মতো পরিষ্কার।
বাস্তবের সঙ্গে মিল
পাঠ্যবইটাকে মাঝে মাঝে একটু দূরে সরিয়ে রাখলে ক্ষতি নেই। খটমটে সব সূত্রগুলো মুখস্ত করার আগে নিজের চারপাশে দেখো। কাগজে কলমে নোট নাও। স্থির বস্তু, চলমান বস্তু এসবের মধ্যে খুঁজে দেখো কোনো বিন্যাস আছে কিনা। প্রশ্ন করো, ফ্যানের পাখা ঘোরার সময় যে বৃত্ত দেখা যায় ওটার ব্যাসার্ধ কত? পরিধি কত? তোমার পড়ার রুমটার ক্ষেত্রফল কিভাবে বের করবে। মেঝেতে গড়িয়ে চলা একটা বলের গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ওই গতি কমার হার কত? কতটা জোরে ছুড়লে বলটা কতদূর যাবে। কত জোরে ছুড়লে বলটা পৃথিবীকে চক্করে খেয়ে আবার তোমার কাছে চলে আসবে? এসবের উত্তর পেতে প্রয়োজনে ইন্টারনেটে সার্চ দাও। এসব প্রশ্নের উত্তর ঘাঁটতে গিয়েও দেখবে তুমি একসময় ইউক্লিডকে ছাড়িয়ে গেছো।
জ্যামিতির কথা
বইতে যে জ্যামিতি আছে সেটাই শেষ কথা নয়। জ্যামিতি ভালো করে শিখতে চাইলে তোমাকে আবারো বইয়ের বাইরে যেতে হবে। উল্টোপাল্টা একটা কিছু এঁকে একটা কিছুর সমাধানের চেষ্টা করো। তোমার বাড়ির পেছনে হয়ত একটা এবড়োখেবড়ো জমি আছে। ওটার ক্ষেত্রফল বের করো দেখি। ইরেগুলার সারফেস এরিয়া লিখে গুগলে সার্চ দিলেই কিন্তু নিয়মটা পেয়ে যাবে। আবার ইউটিউবতো আছেই। সেখানে পাবে গণিতের হাজার হাজার টিউটোরিয়াল।
মনে মনে গুণ ভাগ
গণিতে হিসাব করতেই হবে। তাই বলে সারাক্ষণ ক্যালকুলেটর চাপতে হবে এমন কথা নেই। বড় বড় সংখ্যার নামতা মুখস্ত করে ফেলতে পারো। এতে পরীক্ষার হলে সময় বাঁচবে অনেক। আবার চাকরির পরীক্ষাতেও বেশ কাজে আসবে। ইন্টারনেটে অনেক টিপস পাবে। যেমন ধরো ক্যালকুলেটর ছাড়া কী করে যেকোনো সংখ্যাকে ১১ দিয়ে গুণ করতে হয় সেটা জানতে পারবে এই লিংকে। আবার যে সংখ্যার শেষে ৫ আছে সে সংখ্যার বর্গ বের করার সহজ কৌশল পাবে এখানে। আবার ধরো ২৯ আর ৫০ গুণ করলে কতো হবে সেটা বের করতে দ্রæত। এক্ষেত্রে প্রথমে ৩০ আর ৫০-এ গুণ দাও। পাবে ১৫০০। যেহেতু ১টা ৫০ বেশি ধরেছো তাই ১৫০০ থেকে ৫০ বাদ দাও। পেয়ে যাবে ১৪৫০। কতক্ষণ লাগল? এভাবে সংখ্যার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিলেও কেটে যাবে গণিতের ভয়।
এমন আরো আরো গণিতের টিপস , মডেল প্রশ্ন, সাধারণ জ্ঞান পেতে নিয়মিত এ সাইট ভিজিট করো। যোগ দাও গ্রুপে।
গান শুনতে শুনতে পড়ার আছে যে উপকার!