স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু জানান, ২০১৫ সালে নেত্রকোনা সরকারি কলেজে পড়াশোনা করাকালীন সময় সানির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সানি বেকারত্ব দেখিয়ে বোন ন্যান্সি ও বোন জামাই যায়েদের সহায়তায় ও উস্কানিতে বিভিন্ন সময়ে আমার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে এনে দিতে বাধ্য করে।
শানু শহরের সাতপাই চক্ষু হাসপাতাল রুট এলাকার বাসিন্দা। তাদের চার মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বেকার সানি তার স্ত্রীকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। টাকা দিতে না পারায় মানষিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় শানুকে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন খান জানান, শাহারিয়ার আমান সানির বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে তার স্ত্রী শানু বাদী হয়ে যৌতুকের জন্য তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। একই মামলায় ন্যান্সি ও তার স্বামী নাদিমুজ্জামান যায়েদকে নির্যাতনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।