ঢাকাতে ছাদবাগানের প্রয়োজনীয়তা

ঢাকাতে পা রাখারই জায়গার অভাব। ইট-পাথরের যান্ত্রিক শহরের প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস ফেলার জন্য কয়েকটি পার্ক ছাড়া নেই কোনো খোলা স্থান। সেখানে বাগান তো কল্পনা করাও অসম্ভব। তবে একটা উপায় আছে, বাসা-বাড়ির ছাদটাকে বাগানে রুপানন্তরিত করা। এমনটি ঢাকায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমাতে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়ির ছাদে বাগান খুবই উপকারি।

ঢাকা শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ জায়গা কংক্রিটের কাঠামো, যা মূলত শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে। ঢাকার পরিবেশ দূষণ বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় অনেক বেশি। অধিক জনসংখ্যা, অতিরিক্ত নগরায়ণ, যানবাহন, জলাধার ও গাছপালা কমে যাওয়াই এর মূল কারণ।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সংগঠন পবা সভাপতি বলেন,  একটু উদ্যোগী হলেই আমরা ইটের বস্তি ঢাকাকে বাগানে পরিণত করতে পারি। ক্রমাগত বৃক্ষ নিধনের ফলে ঢাকা মহানগরী আশঙ্কাজনক হারে বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ছে, জীব বৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া ছাদে বাগান থাকলে পরিবারের একটি বিনোদনের জায়গাও গড়ে ওঠে, সবার মধ্যে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। বাচ্চাদের গাছপালা ও পশুপাখির প্রতিও ভালোবাসা বাড়ে।

নগরীর মানুষকে ছাদ বাগানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সিটি করপোরেশনও। যারা বাড়ির ছাদে বা আঙিনায় বাগান গড়ে তুলবেন, তাদের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ মওকুফ করা হবে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এ সময়ের একটি বড় সমস্যা। বলা হচ্ছে, উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে যেসব দেশে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগের ঝুঁকি বেশি, বাংলাদেশ তার সামনের সারিতে রয়েছে। ঢাকার তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে তাতে লাগাম টানতে বেশি করে গাছ লাগানোর ওপর জোর দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা।

ঢাকাতে ছাদবাগান