এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন আরেক বলিউড তারকা স্বরা ভাস্কর। তিনি বলেন, ‘এটা ইয়ার্কি হচ্ছে? গুন্ডামি করে সবাই পার পেয়ে যাবে? আমরা গুন্ডামিকে প্রশ্রয় দিচ্ছি?’
এদিকে ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে কী ঘটেছিল, তার একটি ভিডিও গতকাল শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে অভিনেতা নানা পাটেকার, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য আর নায়িকা তনুশ্রী দত্ত। তনুশ্রী দত্ত রিহার্সাল করছেন। নানা পাটেকার আপত্তিকরভাবে তাঁকে বাধা দেন। সেট ছেড়ে চলে যান তনুশ্রী দত্ত। রিহার্সাল বন্ধ হয়ে যায়। একসময় রিহার্সালের জন্য সেটে ফিরে আসেন। কিন্তু নানা পাটেকারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার ব্যাপারে আপত্তি ছিল তাঁর।
তনুশ্রী দত্ত মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা এবং সংগঠনটির প্রধান রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে এই সংগঠনের মহারাষ্ট্রের ভিদ জেলার শাখা। এর আগে বলিউডের এই তারকা অভিযোগ করেন, নানা পাটেকারের সঙ্গে শুটিং না করে সেদিন চলে আসার পর মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার লোকজন তাঁর বাড়ি ও গাড়িতে হামলা চালায়। তিনি মনে করেন, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরের নির্দেশে সেই হামলা হয়েছিল। এরপর নিজেকে রক্ষা করার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সম্প্রতি তিনি ভারতে ফিরেছেন।
তনুশ্রী দত্ত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তিনি আইনি নোটিশ পেয়েছেন। অভিনেতা নানা পাটেকার আর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর আইনজীবীরা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। তনুশ্রী দত্ত তাঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। এরপর তনুশ্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দুটি আইনি নোটিশ পেয়েছি। একটি নানা পাটেকারের কাছ থেকে, অন্যটি বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাছ থেকে। এটা হলো ভারতে যৌন হেনস্তা, অপমান ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলার পুরস্কার।’
হলিউডে ‘#মিটু’ আন্দোলন দিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গেলেও এত দিন বলিউড ছিল নীরব। এতে কেউ কেউ বলিউড অভিনেতাদের গা বাঁচিয়ে চলার দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তনুশ্রী যেন তাঁর কথায় সেদিকেই ইঙ্গিত দিলেন। তিনি সাংবাদিককে বলেন, ‘এই একই পরিবেশের জন্য ১০ বছর আগে দূরে চলে গিয়েছিলাম। আপনি জানতে চেয়েছিলেন না? কেন ভারতে “#মিটু” আন্দোলন জোরদার হয় না? এই কারণে।’