বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘ইন্ডিয়ান আইডল-এর বিচারকদের প্যানেলে অনু মালিককে আর রাখা হচ্ছে না। তবে শো যথা সময়েই চলবে।’’ শুরু থেকেই এই রিয়্যালিটি শো-এর বিচারকের আসনে ছিলেন অনু। অন্য বিচারক পরিবর্তন হলেও সিজন-১০-এ এসেও তাঁর জায়গা বদল হয়নি। এই সিজনে অনু মালিকের সঙ্গে এই শোয়ের বিচারক রয়েছেন বিশাল দাদলানি ও নেহা কক্কর।
ওই বেসরকারি টিভি চ্যানেলের বিবৃতিতে অবশ্য অনু মালিককে বাদ দেওয়ার কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মত, সঙ্গীত পরিচালকের বিরুদ্ধে পর পর যৌন হেনস্থ তথা #মিটু অভিযোগের জেরেই তাঁকে বাদ দেওয়া হল।
অনু মালিকের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে প্রথম যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন সোনা মহাপাত্র। তার পর পণ্ডিত যশরাজের নাতনি শ্বেতা পণ্ডিত তাঁকে শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত বলে উল্লেখ করেন। মুম্বইয়ের একটি স্টুডিয়োতে অনু মালিক তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ তোলেন শ্বেতা।
এর পর শনিবারই আরও দুই মহিলা অনুকে #মিটু-র কাঠগড়ায় তোলেন। প্রথম মহিলার অভিযোগ, অনু নিজের বাড়িতে ডেকে জোর করে জড়িয়ে ধরে স্কার্ট টেনে নামিয়ে দিয়েছিলেন। তার পর নিজের প্যান্টের চেন খুলে তাঁকে চেপে ধরেছিলেন।
অন্য মহিলার অভিযোগ ছিল, অনু মালিক তাঁকে একটি শিফন শাড়ি পরে স্টুডিয়োয় যেতে বলেছিলেন। সেই স্টুডিয়োর ফ্লোরে তাঁকে চেপে ধরেন অনু মালিক। মহিলার দাবি, লাগাতার আপত্তির পর অবশ্য নিজেকে সামলে নেন অনু মালিক।
যদিও অনু মালিক সোনা মহাপাত্রকে চেনেন না বলে দাবি করে আসছেন। ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শ্বেতার অভিযোগ। তবে শেষ দুই মহিলার অভিযোগ নিয়ে অবশ্য এখনও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তাঁর এক আইনজীবী জুলফিকার মেমন দাবি করেছেন, ‘‘আমার মক্কেল #মিটু আন্দোলন সম্মান করেন। তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এই আন্দোলনকে কারও চরিত্রহননের জন্য ব্যবহার করা হলে তা অত্যন্ত নোংরা মানসিকতার পরিচয়।’’