তবে এই পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেছেন জুলিয়া রবার্টস। তিনি বলেন, ‘বয়স বেড়েছে, তাতে কী! মেধার কোনো দাম নেই? তিন দশক ধরে মেধার জোরেই তো টিকে ছিলাম। আজ যে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি, মেধা না থাকলে সেটা হতো?’ পেছনে ফিরলে দেখা যায় ‘প্রিটি ওম্যান’, ‘ইরিন ব্রোকোভিচ’, ‘স্লিপিং উইথ দ্য এনিমি’, ‘মাই বেস্ট ফ্রেন্ডস ওয়েডিং’, ‘নটিং হিল’, ‘ওন্ডার’, ‘রানঅ্যাওয়ে ব্রাইড’, ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’র মতো দারুণ সব ছবির নায়িকা তিনি। পেয়েছেন অস্কার, গোল্ডেন গ্লোবসহ নানা পুরস্কার। মেধার গুণেই ছবিগুলোর কথা মনে রাখবে সবাই।
হলিউডের নারীদের বয়সবৈষম্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট একটা বয়সে গিয়ে বেজে উঠবে ঘণ্টা। মানে, এবার বাড়ি যাও। তোমার কাজ শেষ। এটা খুব খারাপ কথা! এমনটা হওয়া একদম অনুচিত। আমি যে খুব ভালো, তা বলছি না। তবে যখন কাজ দরকার হয়েছে, আমি পেয়েছি। ৩০ বছর একটা দীর্ঘ সময় এবং আমি কৃতজ্ঞ এবং তুষ্ট।’
হলিউডে লিঙ্গভিত্তিক যে সম্মানীবৈষম্য, এ নিয়েও কথা বলেন জুলিয়া রবার্টস। যদিও ইদানীং সেটা কমতে শুরু করেছে। তবে যৌন হয়রানির ঘটনায় যে গাদা গাদা তারকার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে, এ নিয়ে ভীষণ আহত জুলিয়া।